এস. এম শাহাদৎ হোসাইন, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গ্রাম আদালতে নির্যাতন করায় অপমান সইতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে মেরেজা বেগম (৪৫) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় বাড়ীর লোকজন জানালার ফাঁক দিয়ে মেরেজা বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
আরও পড়ুন: কমলাপুর রেলস্টেশনে শ্রমিক বিক্ষোভ
জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে নির্যাতনের শিকার হয়ে লোক লজ্জার ভয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্থানীয়দের অভিযোগ। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নে ধর্মপুর চ্যাংমারী গ্রামের ফুল মিয়ার স্ত্রী। গত ১২ অক্টোবর ধর্মপুর গ্রামের মৃত মেগার পুত্র বিলাত আলী সকালে মেরেজা বেগমের ঘরে প্রবেশ করে। মেরেজা বেগমের স্বামী ফুল মিয়া কাজের উদ্দেশ্যে অন্যত্র অবস্থান করায় বাড়ির লোকজন অবৈধ কাজের অভিযোগ এনে তাদেরকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়।
পরে মেরেজা বেগম সম্মানহানির বিচার চেয়ে শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থনা করে। ওই দিন সন্ধ্যায় ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মুকুল গ্রাম আদালত এ বিচার প্রার্থী মেরেজা বেগম ও বিলাত আলীকে অভিযুক্ত করে মারপিট করে। পরে মেরেজা বেগম এ বিচার মেনে নিতে না পেরে তার সম্মানহানি হওয়ায় বাড়ির সকলের অজান্তে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন: তথ্য সচিবকে অবসরে পাঠাল সরকার
তবে শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মুকুল সালিসে মারপিটের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তাদের পারিবারিকভাবে দ্বন্দ্ব হয়েছিল, আমি সালিসে মেরেজা বেগমের ভাই ও মায়ের সাথে আপোষ করে দিয়েছি।
সান নিউজ/কেএমএল