সান নিউজ ডেস্ক: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের মারধরে আহত ছাত্রলীগকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে শুরু হচ্ছে ‘গণভোট’
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষটি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিট প্রধান ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
নিহত জামিউল আলীম জীবন নলডাঙ্গা উপজেলার রামশার কাজিপুর এলাকার মো. ফরহাদ হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের আরও সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, জীবনের মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল। শারীরিক অবস্থা এত খারাপ ছিল যে অস্ত্রোপচার করা যায়নি। মূলত সে কারণেই মারা গেছে।
নলডাঙ্গা থানার (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার প্রধান অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদসহ তার অপর ভাই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-নমপেন এফটিএ চুক্তিতে সম্মত
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের মোবাইল নম্বরে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আমতলী বাজারে জীবন ও তার বাবা ফরহাদ হোসেনকে ডেকে নেন উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান আসাদ ও তার সহযোগীরা বাবা-ছেলেকে মারধর করেন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামিউল আলম মারা যান।
আরও পড়ুন: দেশে আরও একজনের মৃত্যু
ঘটনার পর মঙ্গলবার বিকেলে আহত ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম বাদী হয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, তার বড় ভাই ফয়সাল শাহ ফটিক, আলিম আল রাজি শাহ নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।
সান নিউজ/এমআর