গাজীপুর সংবাদদাতা : বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মূলস্ফীতির কারণে দেশের জনগনের যাতে কোন অসুবিধা না হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রহণ করেছেন যুগান্তরকারী পদক্ষেপ। চালু করেছেন ‘ওএমএস’ প্রকল্প। যাতে তৃনমূল পর্যায়েও পৌছে সরকারী সেবা।
আরও পড়ুন : যুদ্ধ অবসানে প্রধানমন্ত্রীর ছয় দফা
কিন্ত সেবার বদলে হয়রানী ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ ভোক্তাগণ। ‘ওএমএস’ একটি সরকারী প্রকল্প হওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আছে কিছু নির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা।
কিন্তু অতি মুনাফালোভী ও মুখোশদারী ব্যক্তির কারণে বিতর্কিত হচ্ছে সরকারের মহতী এই উদ্যোগ। অন্যদিকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ জনগন।
সরেজমিনে ‘ওএমএস’ এর ডিলারশপ ঘুড়ে দেখা যায়, অনিয়ম আর অসঙ্গতির মাধ্যমেই সরকারী চাল, আটা, গম বিতরন করছেন মাওনা চন্নাপাড়া (ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন )এলাকার ডিলার মোঃ কাউছার।
আরও পড়ুন : বিক্ষোভে উত্তাল ইরান, নিহত ৯
অভিযোগ রয়েছে, সরকার নির্ধারিত দর ও পরিমাণ কোন কিছুই মানেন না তিনি।
এবিষয়ে ভোক্তা বাবুল বলেন, আমি তিন কেজি আটা নিয়েছি ৬০ টাকা দিয়ে। বাবুলের সাথে সূর মিলিয়ে সোহাগও জানালেন একই অভিযোগ।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল! অর্থাৎ স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, ডিলার মো: কাউছার ওরফে কাউছার বাগমার স্থানীয় ( গাজীপুর ০৩ )সাংসদ এর নিকট আত্মীয় পরিচয়ে নিজস্ব নিয়মে একেক জনকে ৩০ কেজী চাল দিতেন বিভিন্ন দামে!
আরও পড়ুন : সরকারি চাকরিতে ৩৯ মাস ছাড়
যদিও নির্দেশনা দেওয়া আছে যে, জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ত্রিশ টাকা দরে, ও ৫ কেজী আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। আবার নির্দেশনা থাকলেও পণ্য ও দামের সংবলিত ব্যানার ব্যবহার করছেন না অত্যন্ত ক্ষমতাধর মোঃ কাউছার বাগমার!
তবে এমপি মহোদয়ের ঘনিষ্ঠসূত্র থেকে জানা গেছে উক্ত ব্যক্তি এমপি পরিবারের নাম ব্যবহার করে এসকল অপকর্ম করছেন নিজ স্বার্থে। যার সাথে এমপি বা বাগমার পরিবারের কোন সম্পৃক্ততাই নেই।
ডিলার মো: কাউছার ব্যানার না ঝুলানোর বিষয়টি স্বীকার করেন বলেন, “আজ আমার আসতে দেরি হওয়ায় লোকজন তা লাগায়নি। আর দাম বেশি রাখা ও পরিমানে বেশী দেওয়ার বিষয়ে বলেন এসব আগে হত এখন হয় না”।
আরও পড়ুন : মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৪৪
শ্রীপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জনাব এফ এম রাহাতুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। বিধায় কেউ কোন অনিয়ম অসঙ্গতি করলে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবো।
পাশাপাশি ডিলার কাউছারের বিষয়ে তিনি বলেন, উনার বিষয়ে প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে চুড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এইচএন