গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : আর্থিক টানাপোড়েনে দিলীপ চন্দ্রের পড়াশোনা করা হয়নি। ১৫ বছর বয়সে বেছে নিতে হয়েছে পৈতৃক পেশা। বাঁশ দিয়ে ডালা, কুলা, চালুন, ধান রাখার ডুলিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরির কাজ শুরু করে বাজারে বিক্রি করে দিলীপ চন্দ্রের সংসার চলছে।
আরও পড়ুন : করোনায় ৫ জনের প্রাণহানি
দিলীপ চন্দ্রের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মীরগঞ্জ পাটনিপাড়া এলাকায়। প্রায় ১৫০ নারী ও পুরুষ সংসার চালান বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র তৈরী করে। আশপাশের হাট-বাজার থেকে সংগ্রহ করা বাঁশ দিয়েই এসব জিনিস তৈরি করা হয়।
শুধু সুন্দরগঞ্জ নয় গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতেও মীরগঞ্জ পাটনিপাড়া এলাকার বাঁশের তৈরী জিনিসপত্রের সুনাম রয়েছে। তবে বাঁশের দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্লাস্টিক পণ্য সহজলভ্য হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিগণ।
আরও পড়ুন : শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন ২০ গুণী
গ্রামের বেশির ভাগ বাড়িতে বাঁশের কাজ চলছে। বাড়ির বারান্দা থেকে শুরু করে উঠানের কোনো জায়গা ফাঁকা নেই। পরিবারের সবাই মিলে এ কাজ করে। কেউ বাঁশ কাটছেন, কেউ বাঁশ চেঁচেছুলে পাতলা করছেন। কেউ আবার ডালা-কুলা বানাচ্ছে।
মীরগঞ্জ পাটনিপাড়া এলাকার কারিগরগণ বলেন, মীরগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন বাজার থেকে তাঁরা বাঁশ সংগ্রহ করেন। এক বছর আগেও এসব বাজারে একটি বাঁশের দাম ছিল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। বর্তমান বাজারে প্রতিটি বাঁশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে আগের চেয়ে তাঁদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন : মহামারি কাটিয়ে চাঙ্গা যুক্তরাষ্ট্র !
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের গাইবান্ধা শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক রবীন্দ্র নাথ রায় বলেন, সুন্দরগঞ্জের মীরগঞ্জ পাটনিপাড়ার বাঁশ শিল্পের স্থানীয়ভাবে সুনাম আছে। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিগণ চাইলে তাঁদের ঋণ দেওয়া হবে।
সান নিউজ/এইচএন