স্ত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় স্বামী গ্রেফতার
সারাদেশ

স্ত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় স্বামী গ্রেফতার

আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্ত্রী আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় স্বামী সুমিত কুমার আগারওয়ালা নিক্কিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন : বিএনপির সবকিছুতেই হতাশা

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সে শহীদ তুলশীরাম আগারওয়ালার নাতি ও শিল্পপতি সুশীল কুমার আগারওয়ালার বড় ছেলে।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, জ্যোতি আগারওয়ালার আত্মহত্যার কারণ হিসেবে যে নোট রেখে গেছেন এবং ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়ে গেছেন, তাতে স্বামী সুমিত কুমার আগারওয়ালা, দেবর অমিত কুমার আগারওয়ালা, জা ডা. অমৃতা আগারওয়ালা ও শাশুড়ি উমা দেবী আগারওয়ালাকে দায়ী করেছনে। সে কারণে স্বামী সুমিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) সারোয়ার আলমসহ নিহতের বাসায় রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। সবার মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন : রানির শেষকৃত্যানুষ্ঠান শুরু

এ সময় স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পুর উপস্থিতিতে বাড়িতে তল্লাশি করে মৃতার নমুনা হাতের লেখা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে রাতে আত্মহত্যার প্ররাচনার লিখিত অভিযোগে রোববার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

জ্যোতির বড় ভাই ভারতের শিলিগুড়ি শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রঞ্জিত কুমার জজরিয়া বলেন, ২০০১ সালের ১২ ডিসেম্বর আমার বোনের বিয়ে হয়েছে। তারপর থেকেই তার ওপর মানসিক নির্যাতন করছে নিক্কি ও তার মা উমা দেবী।

নিক্কির ছোট ভাই অমিত কুমার আগারওয়ালার সাথে ডা. অমৃতা কুমারী আগারওয়ালার বিয়ের সময় কৌশলে মিথ্যে কথা বলে জ্যোতির নিজস্ব গহনা ও সঞ্চিত টাকা হাতিয়ে নেয় পরিবারের লোকজন।

আরও পড়ুন : ইভিএম কিনতে ৮৭১১ কোটি টাকা চায় ইসি

দীর্ঘ দিনেও ওই টাকা ও গহনা ফেরত না দেওয়া হয়নি। বরং ওই বিষয়ে কথা বললেই শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। নিক্কি মাদকাসক্ত ও পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ায় এবং এর প্রতিবাদ করায় পারিবারিক অত্যাচারের মাত্রা দিনে দিনে আরও বৃদ্ধি পায়।

সম্প্রতি স্বামী শাশুড়ি দেবর জা মিলে নিয়মিত অমানবিক নির্যাতন অব্যাহত রাখায় জ্যোতি অতিষ্ঠ হয়ে প্রবলভাবে হতাশ হয়ে পড়ে।

বুধবার আবারও সবাই মিলে নির্যাতন করায় ক্ষোভে দুঃখে একটি সুইসাইড নোট লিখে বৃহস্পতিবার সকালে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে চারদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে হেরে যান তিনি।

আরও পড়ুন : টিআইবির প্রতিবেদন বিভ্রান্তি তৈরি করবে

জ্যোতি সুইসাইড নোটে লিখেছেন বিয়ের পর থেকে ২১ বছরে একদিনের জন্যও সুখের মুখ দেখতে দেয়নি শাশুড়ি। ছেলের অপকর্মকে সায় দেয়াসহ উল্টাপাল্টা কথা বলে কান ভরেন তিনি।

সারা জীবন কেঁদে গেলাম। টাকা ও গয়না নিয়ে ফেরত না দিয়ে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করে চলেছে। দুই সন্তানকেও ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছে। কাজের লোক ও পাড়া প্রতিবেশীরাও সব জানে। আমি আমার মৃত্যুর বিচার চাই।

সান নিউজ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভূমি অফিসে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, নীরব প্রশাসন; ফুঁসছে জনগন!

মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জারিকারক লুৎফা আক্তার (৪৫)...

ছাত্রলীগ সভাপতির বসতঘরে আগুন

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মাছুম বিল্লাহ বাপ্পির...

মুন্সীগঞ্জে বিএনপির চার নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের চার নেতার আবেদনের প্রেক্ষিতে বহিষ্কার...

খালেদা জিয়ার পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে দিনাজপু...

দেশের ৫০ ভাগ নারী, নারীদের নেতৃত্ব ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের ৫০ ভাগ নারী।...

নোয়াখালীতে মধ্যরাতে ফুটবল খেলা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ১৮

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ও মুছাপুর ইউনিয়নের মধ্যে মধ্যরাতে ফুটবল খেলাক...

আজ সেই ভয়াল ১৫ নভেম্বর, ১৮ বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি উপকূলবাসী

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর—দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনে এক বিভীষিকাময় রাত। ভয়...

দেশ স্বাধীনের ৫৪ বছরেও এ জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি: আকন

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইসলামী আন্দোলন বাং...

মুন্সীগঞ্জে বিএনপির চার নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের চার নেতার আবেদনের প্রেক্ষিতে বহিষ্কার...

ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতায় ইবির এক শিক্ষার্থী আটক

আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পক্ষে নিয়মিত ফেসবুক পোস্ট করা এবং সংগঠনটির সঙ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা