সান নিউজ ডেস্ক : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে নেত্রকোনায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। এরমধ্যে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। উপজেলা দুটির প্রায় সবগুলো বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি।
আরও পড়ুন: বন্যার মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক
রোববার (১৯ জুন) থেকে খালিয়াজুরিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে কাজ করবে সেনাবাহিনীর ১০৪ সদস্যের একটি দল। এছাড়া জেলার ১৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
এদিকে, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। উপজেলা দুটির শহর থেকে শুরু করে সবগুলো গ্রামের বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। এছাড়া খালিয়াজুরি, সদর, আটপাড়া ও বারহাট্টা উপজেলা মিলে প্রায় সাত লাখ মানুষ পানিবন্দি। জেলার সঙ্গে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরের সড়ক পথ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: জেসিসি বৈঠক আজ
প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কলমাকান্দ-ঠাকুরাকোনা নবনির্মিত সড়কের স্থানে স্থানে মানুষ তাবু টাঙিয়ে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ গৃহপালিত প্রাণি নিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন।
নবনির্মিত সড়কটির হিরাকান্দা, আশারানী, পাবই, বাহাদুরকান্দাসহ বেশ কিছু স্থান নিচু থাকায় বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। সড়কের কোথাও কোথাও কোমর পানি। এতে করে জেলার সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় এরই মধ্যে ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ মেট্রিকটন জিআর চাল ও নগদ আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইকেল থেকে পড়ে গেলেন বাইডেন
তিনি বলেন, বন্যাকবলিত প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলাসহ মেডিকেল টিম নিয়োজিত হয়েছে। জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন এনজিও, স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রশাসনের লোকজন মানুষসহ গোবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সান নিউজ/এফএ