আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে নালা সংস্কার কাজে পুরাতন ইট ব্যবহার করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকার জুন বলেন, পুরাতন ইটখান কি নদীত ফিক্কি দেমো? ওইলাওতো কামত লাগের নাগিবে। তোমরা এইলা ছোট কামত কেনে নজর দেন? বড় বড় কামত কত দূর্নীতি হয়ছে তাতে তো যান না। যত নীতি দেখান হামার কামত আসি।
জানা যায়, এলজিএসপি-৩ এর আওতায় ওই ইউনিয়নের শ্বাষকান্দর চেংমারীপাড়ায় প্রায় ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি নালা নির্মান করা হচ্ছে। প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দের এ নালা নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরাতন ইট। ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকার জুন নিজেই এই কাজ করছেন। চেয়ারম্যান নিজে এই অনিয়ম করায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানায়। তারপরেও কর্তৃপক্ষ কোন
ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের কাজ করে সরকারী অর্থ লোপাটের বিচার দাবী করেছেন তাঁরা।
এলাকাবাসীর দাবী সিডিউল অনুযায়ী পুরাতন ইটের মধ্যে যেগুলো ব্যবহারযোগ্য সেগুলো শুধু সোলিংয়ে বিছিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু চেয়ারম্যান সোলিংসহ নালার দুইপাশের গাঁথুনিও ওই পুরাতন ও ভাঙ্গা নষ্ট হয়ে যাওয়া ইট দিয়েই করেছেন। আমরা এলাকার কয়েকজন প্রতিবাদ করায় দুই তিন দিন বন্ধ রাখে। পরে আমাদের অনুপস্থিতির সুযোগে দ্রæত কাজ শেষ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী কাজের ক্ষেত্রে পুরাতন ইটই ব্যবহার করা হচ্ছে। এসময় কোন নতুন ইটের অসতিত্ব পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী উপস্থিত হয়ে আরও বলেন যেভাবে কাজ করা হচ্ছে তাতে বেশিদিন টিকবেনা। তাছাড়া উত্তর দিকে আগের ওই নালার সাথে সংযোগ না দেওয়ায় ওইদিকের পানি নিষ্কাশন হবেনা।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের প্রকৌশলী আতাউর রহমান জানান, কাজটা মূলতঃ এলজিএসপি-৩ এর অধীনে হওয়ায় তা সম্পূর্ণরুপে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের তত্বাবধানের বিষয়। আমরা শুধু প্রকল্পের ইস্টিমেট (পরিকল্পনা) করে দেই। একদিন প্রকল্পস্থলে গিয়ে মিস্ত্রিদের দেখিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি। এরপর সব চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। তিনি নিজেই কাজটা করছেন। পুরাতন ইট ব্যবহার করে থাকলে তা চেয়ারম্যানের ব্যাপার।
সান নিউজ/এনকে