নিনা আফরিন, পটুয়াখালী: ‘ঝাউতলায় আর গাছ নাই, আনন্দের আর সীমা নাই’ স্লোগান নিয়ে বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদে অভিনব প্রতিবাদ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সরেজমনে দেখা যায়, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের সামনের সড়কে নগর উন্নয়নের নামে পৌরসভা কর্তৃক নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন চলছে। এর প্রতিবাদ আজ রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় শহরের ঝাউতলা নামক স্থানে এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদে অভিনব আনন্দ মিছিল করে এবং পথচারীদের মিষ্টিমুখ করান। তারা স্লোগান দেন ‘ঝাউতলায় আর গাছ নাই, আনন্দের আর সীমা নাই’।
শিক্ষার্থীরা জানান, শহরের প্রাণ কেন্দ্র জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের সামনের সড়কে পৌরসভা অকারণে নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলছে। কোন আইনের তোয়াক্কা না করে পৌর কর্তৃপক্ষ নগর উন্নয়নের নামে নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলছে। কি কারণে গাছ কাটা হচ্ছে তার কোন সদুত্তর দিতে পারছে না সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা। গত কয়েক দিন ধরে দিনদুপুরে শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে।
প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীরা জানান, গাছ কাটা বন্ধ, দোষীদের শাস্তি এবং আরো বৃক্ষ রোপণের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেছে তারা।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার বাস ভবন থেকে জানানো হয় তিনি ব্যক্তিগত সফরে দেশের বাইরে রয়েছেন।
এ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিমউদদীন আরজু জানান, এ গাছগুলো বন বিভাগ থেকে মাকিং করে তার পর কাটা হচ্ছে। এ গাছগুলো কাটা হলেও আরও অনেক বেশি গাছ একই জায়গায় লাগানোর প্রক্রিয়া চলছে। শহরকে সুন্দর করতে আরও নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, পৌর কর্তপক্ষের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বন বিভাগ গাছগুলো পরিমাপ করে দিয়েছে। প্রথমে ১৬৩ টি গাছ কাটার কথা থাকলেও একটি কমিটি গঠনের পর ৬৩টি গাছ কাটার সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে পটুয়াখালী পৌর মুসলিম গোরস্থানের শতবর্ষী শতাধিক গাছ কেটে নিলামে বিক্রি করেছিলো পটুয়াখালী পৌরসভা।
সান নিউজ/এমকেএইচ