নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটে কারচুপি হলে আত্মহত্যার মাধ্যমে প্রতিবাদ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামছুল আরেফিন। তিনি টানা দুইবার সোনাগাজী সদর ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ঘোষণা দেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল বলেন, আমি মানুষের ভোটে দুইবার চেয়ারম্যান হয়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। মানুষ এখনো আমাকে ভোট দেবে। আমি ইতোমধ্যে শুনতে পাচ্ছি আমাদের নৌকার প্রার্থীকে বহিরাগত লোক এসে নির্বাচিত করে দেবে। কিন্তু তিনি কীভাবে নির্বাচিত হবেন আমি জানি না।
তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি এভাবে কিছু ঘটে তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আমি আত্মহত্যা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দেবো যে, আমি চাই এখানে ফেয়ার নির্বাচন হোক। বহিরাগত কোনো সন্ত্রাসী যেন আমার নির্বাচনী এলাকায় না প্রবেশ করে।
এর আগে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নিজের জন্য দলীয় প্রতীক নৌকা না পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন চেয়ারম্যান সামছুল আরেফিন।
একই অভিযোগ এনে আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজও।
রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সোনাগাজী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফেনীর পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ‘আমার ৩৫ বছরের রাজনীতির অর্জনটি যেন কেউ ছিনিয়ে নিতে না আসে। যদি ছিনিয়ে নিয়ে যায়, যদি আমার ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে না পারে তাহলে আত্মহত্যা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না আমার।’
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে সোনাগাজীর নয়টি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সোনাগাজী সদর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান সামছুল আরেফিনসহ পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে নৌকা প্রতীকে উম্মে রুমা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাননিউজ/এএএ