নিজস্ব প্রতিবেদ: আজ (১৪ ডিসেম্বর) বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকী । তিনি ৭নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন এই দিনে।
দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার দুদিন আগে ৭নং সেক্টরের অধীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর পাদদেশ রেহাইচরে শত্রুদের শেষ বাঙ্কারে চার্জ করার সময় পাশের একটি জানালা থেকে রাজাকার বাহিনীর ছোড়া বুলেট জাহাঙ্গীরের কপালে বিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন জাতির এই সূর্যসন্তান।
তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে ৭নং সেক্টরের প্রথম সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হকের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
জেলা প্রশাসন কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রেহাইচরের সড়ক ভবন চত্বরে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের শাহাদাতবরণ স্থলে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে সকাল সাড়ে ৮ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকাল সাড়ে ১০টায় সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে তার ও মেজর নাজমুল হকের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দোয়া মাহফিল কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্গম এলাকা অতিক্রম করে শিয়ালকোট সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ করেন ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। পরে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার মহদিপুরে মুক্তিবাহিনীর ৭নং সেক্টরে সাব সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ৩ জুলাই যোগ দেন।
উল্লেখ্য, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে ১৯৪৯ সালের ৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মৌলভী আব্দুল মোতালেব হাওলাদার ও মাতা মোসাম্মত সাফিয়া বেগম।
সাননিউজ/এএএ