নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোলা : ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে ভোলার নৌ-রুটের ঘাটগুলোতে। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের কারণে ঈদ করতে বাড়ি যাওয়া লোকজন ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে ভোলার ইলিশা ও ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকামুখী লঞ্চ ও ফেরিতে দেখা গেছে অসংখ্য যাত্রী। ঘাটে ছিল যাত্রীদের জটলা। যাত্রীদের চাপে ইলিশা-গাজীপুর লঞ্চ ঘাটের গ্যাংওয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
ঢাকামুখী এম ভি গ্রীন লাইন-২ এর যাত্রী রাকিব হাসান বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসছিলাম। কাল (২৩ জুলাই) থেকে আবার সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আজ যদি ঢাকায় না যেতে পারলে লকডাউনের ঝামেলা হবে। তাই করোনার ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি।
এম ভি দোয়েল পাখির যাত্রী মাহফুজ বলেন, সরকার ঈদে লকডাউন শিথিল করছে জনগণের সুবিধার জন্য, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়। কিন্তু লকডাউনটা আর এক দিন পিছিয়ে দিলে আমাদের জন্য ভালো হতো। তাহলে ঘাটে ও লঞ্চে এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
এম ভি কর্নফুলি-১৪ লঞ্চের যাত্রী আল-আমীন বলেন, আগামীকাল পুনরায় লকডাউন শুরু হবে। তাই আজ ঢাকায় ফিরছি। লঞ্চের ধারণক্ষমতা ৭৫০ জন কিন্তু যেখানে লঞ্চে যাত্রী রয়েছে ১৫শ থেকে ১৮শ জনের মতো।
এদিকে ইলিশা তালতলী লঞ্চঘাট ইজারাদার মো. সরোয়ারদি মাস্টার জানান, ভোলাসহ দক্ষিণঞ্চালের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম নৌ-পথ। লকডাউনের ঘোষণার পরপরই ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল শুরু হয়েছে, যা প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপে গ্যাংওয়েটাও ভেঙে গেছে।
ভোলা বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক মো. জাহিদুর ইসলাম জানান, ঘাটগুলোতে বিআইডব্লিউটিএ এর পক্ষে জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য সচেতন করা হচ্ছে। আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও ইলিশা ফাঁড়ির পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে।
সাননিউজ/এমএইচ