সারাদেশ

সাঁথিয়ায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনা: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার একটি সড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও কৃষি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় সরকার বিভাগকে লিখিতভাবে জানিয়েও ফল মেলেনি।

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে আরটিআইপি প্রকল্পের অধীনে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার জোড়গাছা থেকে সেলন্দা পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক মেরামতে দরপত্র আহবান করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দে কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিন্নাত আলী জিন্নাহ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক সংস্কারে বাইরে থেকে মাটি এনে কাজ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আশেপাশের কৃষিজমি ও খাল থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে। চাষিরা বাধা দিলে, মারপিট ও মামলার হুমকি দিচ্ছে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। সিডিউলের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো কাজ করছেন ঠিকাদার।

উপজেলার চক মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক অভিযোগ করেন, ঠিকাদার সিডিউল অনুযায়ী বাইরে থেকে ট্রাকে মাটি কিনে না এনে, ভয় দেখিয়ে গ্রামের কৃষকদের জমি ও রাস্তার পাশের খাল থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছে। এতে কৃষকের ক্ষতির পাশাপাশি যে কোন মূহুর্তে এ সড়ক ধ্বসে পড়ার আশংকা তৈরি হয়েছে। যেভাবে সড়ক নির্মাণ করছে তাতে আগামী বর্ষায় এ সড়ক তো টিকবেই না বরং বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

একই গ্রামের আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাস্তা সংস্কারের শুরু থেকেই ঠিকাদার গায়ের জোরে ইচ্ছামত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে। সিডিউলে রাস্তার এইজিং ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি করার কথা থাকলেও তা করছেন না, পুরুত্ব ৪ ইঞ্চির স্থলে ২-৩ ইঞ্চি দিচ্ছেন। ইট খোয়ার পরিবর্তে পোড়া মাটি দিয়ে রাতের আঁধারে পোড়ামাটি দিয়ে রোলার করে দিচ্ছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার বলেও কোন লাভ হয়নি।

কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, ঠিকাদারের লোকজন জোর করে আমার জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে। আমি বাধা দিলে বলেছে, সরকারি কাজে বাধা দিলে জেলের ভাত খাওয়ানো হবে। তারা ইচ্ছামতো আমার জমি নষ্ট করছে।

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার জিন্নাত আলী জিন্নাহ বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ আমি কখনোই করি না। এটি বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নের কাজ অনিয়ম হলে তো আমি বিলই পাবো না। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানকে চাঁদা না দেয়ায় উনি এলাকাবাসীকে দিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সাঁথিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আবুল হাশেম বলেন, ঠিকাদার ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। উপ সহকারী প্রকৌশলী মিজানের বিরুদ্ধে ঠিকাদার আমাকেও অভিযোগ করেছিলেন, আমি তদন্ত করে এর কোন সত্যতা পাইনি।

এ বিষয়ে উপ সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় সরকার বিভাগ, পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, সংস্কার কাজে আশেপাশের মাটি না কেটে বাইরে থেকে মাটি এনে কাজ করতে ঠিকাদারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন বিল দেয়া হয়নি। কাজটি চলমান, কাজের গুণগত মান যাচাই করেই বিল প্রদান করা হবে।

সান নিউজ/আরএস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম...

দেব–শুভশ্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়

দীর্ঘ বিরতির পর সাবেক প্রেমিক জুটি দেব ও শুভশ্রী পর্দায়। কৌশিক গাঙ্গুলীর &lsq...

টাইব্রেকারে সুপার কাপ জয় পিএসজির

৮৪ মিনিট পর্যন্তও ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল পিএসজি। টটেনহাম বোধ হয় শিরোপায় এক হাত দ...

নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহে, আশা ইসির

আগামী সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করতে পারব...

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক কাল

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলোচনা করতে আগামীকাল শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ব...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা