নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৫ সালে হরতাল-অবরোধে নাশকতার অভিযোগে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় করা মামলায় গ্রেফতার হন বাংলাদেশে কর্মরত পাকিস্তানি নাগরিক ইঞ্জিনিয়ার খালিদ মাহমুদ। চার বছর কারাভোগের পর ২০১৯ সালে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান তিনি। জামিন আদেশের দুই বছরেরও বেশি সময় পরে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন এই পাকিস্তানি।
বুধবার (১২ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফজলুল করিম মন্ডল জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হাইকোর্টের আদেশের কপি কারাগারে যাওয়ার পর মঙ্গলবার কারামুক্ত হন খালিদ।
খালিদের আইনজীবীরা জানান, ২০১৯ সালে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। কিন্তু সেই আদেশের কপি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে যেতে সময় লাগে প্রায় দুই বছর। গত ২৯ এপ্রিল জামিন আদেশের কপি কারাগারে যাওয়ার পরে ১১ মে খালিদ কারাগার থেকে মুক্তি পান।
ব্যারিস্টার ফজলুর জানান, পাকিস্তানি নাগরিক ইঞ্জিনিয়ার খালিদ মাহমুদ ২০১৫ সালে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন কাজ করতে। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বনগাতীতে এমএস ইউনিলাইন্স টেক্সটাইলস লিমিটেড নামে একটি কারখানায় ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। সেখানে কাজ শুরুর ছয় মাসের মাথায় তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর প্রায় তিন মাস কোনো মামলা ছাড়াই তাকে আটক রাখা হয়। এরপরে বিএনপির ডাকা এক হরতালে নাশকতার মামলায় তাকে আসামি দেখানো হয়।
২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি গাজীপুর সদরের জয়দেবপুর থানায় হওয়া সেই মামলায় গাজীপুর জেলা জজকোর্ট থেকে জামিন আবেদন করেন খালিদ। সেখানে আবেদন নাকচ হলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এরপরে ২০১৬ সালে কারামুক্তির দিন আরেকটি মামলায় তাকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখিয়ে জেল গেট থেকে আবারও আটক করা হয়। প্রথম মামলায় জামিন হলেও দ্বিতীয় মামলার কারণে তিনি মুক্তি পাননি।
দ্বিতীয় মামলায়ও গাজীপুরের বিচারিক আদালতে তার জামিন আবেদন খারিজ হয়। এরপর তিনি ফের উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ থেকে ২০১৯ সালে জামিন পান খালিদ।
এই মামলার জামিন আদেশ কারাগারে যাওয়ার পরে জানা যায়, খালিদের বিরুদ্ধে প্রথম মমালার অভিযোগটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সে কারণে তার মুক্তিতে বাধা নেই। কিন্তু ২০১৯ সালের সেই জামিন আদেশ গাজীপুরে যেতে সময় লাগে দুই বছর। সে কারণে জামিন পেয়েও এতদিন কারাভোগ করতে হয় এই বিদেশিকে।
অবশেষে চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল আদেশের কপি কারাগারে গেলে তিনি ১১ মে কারামুক্ত হন।
সান নিউজ/এমএ/এসএম
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            