নিজস্ব প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল : গভীর রাতে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে মাকে বেঁধে রেখে দুই মাসের শিশু চুরি যাওয়া জুনায়েদকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ভোরে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রাম থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সখীপুর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বাসাইলের হাবলা গ্রামের পরান খান ওরফে জামাল, তার স্ত্রী শিউলী ও তার বোন রওশনারা। শিশুটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিশুর মা কল্পনা আক্তার বলেন, ‘আমার ঘরে দুই জন লোক প্রবেশ করে। একজন গামছা দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে আরেক জন ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এর পর আমি বেহুস হয়ে যাই। তার পরে কি হয়েছে আমি সঠিক বলতে পারব না। ছয়দিন পর জীবিত অবস্থায় আমার ছেলে পেয়ে আমি খুব খুশি। পুলিশ ভাইদের ধন্যবাদ জানাই।
শিশুর বাবা আছর উদ্দিন বলেন, ছেলে চুরি হওয়ার সংবাদ শোনার পর আমি দানা পানি মুখে দিইনি। খুব চিন্তায় ছিলাম। কান্নাকাটি করছি আর বারবার আল্লাহর নাম নিছি। অবশেষে পুলিশের সহযোগিতায় আমার সন্তানকে ফিরে পেয়েছি। আমরা অনেক খুশি।
প্রতিবেশি হাসমত আলী বলেন, জুয়ায়েদ চুরি হওয়ার পর তার বাবা-মা সবসময় কান্নাকাটি করতেন। তার মাকে একাধিকবার স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়। জুনায়েদকে ফিরে পেয়ে তারা বাবা-মা খুব খুশি হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সখীপুর থানা পুলিশ ও পিবিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে এবং দেলদুয়ার থানা পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার রাত ১০টা থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে মঙ্গলবার ভোরে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শোলা প্রতীমা এলাকার ট্রাকচালক আছর উদ্দিনের ঘরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা তার স্ত্রী কল্পনা আক্তারের মুখ বেঁধে দুই মাসের শিশু জুনায়েদকে ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরের দিন ১ এপ্রিল শিশুর মা কল্পনা আক্তার বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেন।
সান নিউজ/কেটি