সারাদেশ

খাগড়াছড়িতে স্থাপিত হবে ক্যাবল কার : কংজরী চৌধুরী

সাইফুল ইসলাম মাসুম, খাগড়াছড়ি থেকে ফিরে: দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দূর্গম পাহাড়ে ক্যাবল কারের চিন্তা করা হচ্ছে। শিগগিরই এর সম্ভাবতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পাবর্ত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব কংজরী চৌধুরী।

সম্প্রতি ‘খাগড়াছড়ির উন্নয়ন সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

কংজরী চৌধুরী বলেন, প্রকল্পের আনুমানিক খরচ আড়াই হাজার কোটি টাকা হতে পারে। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে পাবর্ত্য জেলা পরিষদের নানাবিধ উন্নয়ন, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকার সুফল পেতে শুরু করেছে দেশের জনগণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় পাবর্ত্য জেলাতেও নানাবিধ উন্নয়ন হয়েছে।

পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে প্রতিনিয়তই সরকার, জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনী সমন্বয়ে যৌথভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়ের উপর দিয়ে মালেশিয়া, ভারতের দার্জিলিংয়ের মতো ক্যাবল কার স্থাপনের চিন্তা করা হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পর্যটকদের কাছে দেশের পর্যটন খাত বিশেষ করে পার্বত্য এলাকার পর্যটন শিল্প নতুনমাত্রা পাবে।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরও বলেন, পার্বত্য এলাকার শান্তি নষ্ট করতে একটি মহল তৎপর রয়েছে। আমার বাবা ও নিকট আত্বীয়রা এই পার্বত্য এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবন দিয়েছেন। আমিও পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে সম্পৃতি বজায় রাখতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। ১০ বছর আগে যারা খাগড়াছড়ি এসেছেন তখনকার চিত্র আর বর্তমান চিত্র অনেক পার্থক্য। আগে সেনাবাহিনী দেখলে পাহাড়িরা আতঙ্কিত হতো, বর্তমানে সেনাবাহিনীকে তারা আর ভয় পায়না। পাহাড়িদের কাছে শিক্ষার আলো ছড়াতে পারলে ধীরে ধীরে সব ভীতি দূর হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কংজরী চৌধুরী বলেন, সাজেকে কোন হাসপাতাল নেই, সেখানকার লোকজনকে সেনাবাহিনী ছাড়া কেউ চিকিৎসা দিতে পারে না। অচিরেই এখানে একটি হাসপাতাল করা হবে। আইনত জটিলতার কারণে অন্য কোন জেলার মানুষ এখানে বিনিয়োগ করতে আসতে পারেনা। তবে আইন সংশোধন হলে যে কেউ এখানে পর্যটন খাতে অংশ নিতে পারবেন। আইনগত জটিলতা দূর করার চেষ্ঠা অব্যহত আছে।

তিনি ইচ্ছা পোষণ করেন এখানে একটি বিমানবন্দর অথবা হেলিপ্যাড দরকার। যাতে দেশি ও বিদেশি পর্যটকরা সহজেই এ অঞ্চলে আসলে পারে। তাহলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে আসতে পারবে। সেনাবাহিনীর অধীনে হলেও বিমানবন্দর স্থাপন করা জরুরি।

সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্তব্যরত প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে পাবর্ত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব কংজরী চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিদের হাতে উপহার সামগ্রী তলে দেন।

সান নিউজ/এসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

দেব–শুভশ্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়

দীর্ঘ বিরতির পর সাবেক প্রেমিক জুটি দেব ও শুভশ্রী পর্দায়। কৌশিক গাঙ্গুলীর &lsq...

নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহে, আশা ইসির

আগামী সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করতে পারব...

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক কাল

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলোচনা করতে আগামীকাল শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ব...

দুই দিনের ব্যবধানে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের দুই মন্ত্রী

মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের দুই মন্ত্রী। পাকিস্তানের বাণ...

তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, ৫ উপজেলার বহু মানুষ পানিবন্দি

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা