নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : বাড়ির উঠানে বসে বই পড়া অবস্থায় মো. মারুফুল ইসলাম (১৩) নামের এক কিশোর। অজ্ঞাতভাবে ছুটে আসা গুলিতে তার মৃত্যু হয়। নিহত মারুফুল ইসলাম চুনতির পশ্চিম নারিচ্যার চান্দা বটতলী এলাকার মোহাম্মদ ফোরকানের ছেলে। সে পুঁটিবিলা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
বুধবার ( ২৫ নভেম্বর )সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের পশ্চিম নারিচ্যার চান্দা বটতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ( ২৬ নভেম্বর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
পুলিশ ও নিহত কিশোরের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ির সামনের উঠানে বসে বই পড়ছিল মারুফুল ইসলাম। সেখানে হঠাৎ একটি গুলির শব্দ শোনে অন্যরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মারুফুল উঠানে পড়ে আছে। তারা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগাড়া উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এবং পরে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মারুফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল মোনাফ সিকদার বলেন, ‘শুনেছি বন্য শূকর শিকারের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অসাবধানতাবশত বন্দুকের গুলি বের হয়ে মারুফুলের বুকে লেগে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।’
নিহতের বড় ভাই মামুনুল ইসলামের দাবি, ‘গুলির শব্দ শুনে আমরা ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার ছোট ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় উঠানে পড়ে আছে। এলাকার লোকজনের কাছ থেকে শুনেছি, জিতেন বড়ুয়া নামের এক ব্যক্তি বন্দুক নিয়ে শিকারে বের হতে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় গুলি বের হয়ে আমার ছোট ভাইয়ের বুকে লেগে মৃত্যু হয়েছে।’
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, বন্য শূকর শিকারির গুলিতে কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। ঘটনার পর সে ব্যাক্তি পালিয়ে গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার আগ্নেয়াস্ত্রটি বৈধ নয়। তাকে খুঁজে বের করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সান নিউজ/এসএ