নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁদপুর : ইলিশ প্রজনন রক্ষায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও নদীতে মিলছে না ইলিশ মাছ। এমন কথাই জানালেন মেঘনার বুকে মাছ ধরে সংসার চালানো জেলেরা।
রোববার (১৫ নভেম্বর) চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছ ঘাট ঘুরে দেখা গেলো একই চিত্র। যেমন মাছশূন্য তেমনি ক্রেতা নেই। নেই সেই প্যাকেটটিংয়ের ব্যস্ততাও। পুরোও আড়ত যেন খাঁ খাঁ করছে।
নদীতে যেভাবে আকাল পড়েছে জেলেদের সংসার চালানো এখন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলাপকালে জেলেরা জানান, নদীতে কোনো মাছ নেই। যা পায় তার মধ্যে জাটকা ইলিশ বেশি থাকে। ঠিকমতো তেলের খরচ ওঠানো এখন সম্ভব হচ্ছে না। সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে তাদের।
এছাড়ও আছে কিস্তির চাপ। যত কিছুই হোক কিস্তির টাকার চিন্তা সবসময়ই মাথায় থাকে। কেউ কেউ আবার হাঁস-মুরগি বিক্রি করেও কিস্তির টাকা শোধ করছেন বলে জানান। এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এ সময় মাছ একটু কমই থাকে তবে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর একটু বেশিই কম।
আবার কেউ কেউ বললেন, এখন যে মাছ নদীতে পাওয়া যাচ্ছে তার বেশিই হলো জাটকা। আশা করি ১৫-২০ দিন পর বড় ইলিশ পাওয়া যাবে। নদীতে মাছ না থাকার বিষয়ে গবেষক ড. আনিসুর রহমান জানান, ইলিশ মাছ পরিভ্রমণশীল।
তারা দল ধরে চলাফেরা করে এবং সাগর থেকে উপকূল হয়ে প্রধান নদ-নদীতে আসে। মূলত ব্রিডিংয়ের সময়কাল আগস্ট থেকে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাস পর্যন্ত চলে।
তিনি বলেন, এর আরেকটি মাইনর প্রজনন কালও রয়েছে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল এই চার মাস ধীরে ধীরে তাদের প্রজনন বৃদ্ধি করে। এ সময় মূলত মাছগুলো তাদের খাদ্য আহরণ করার জন্য নদীতে আসে এবং নদী থেকে খাদ্য আহরণ করেই আকৃতি বৃদ্ধি করে।
এর মাঝামাঝি সময়টাতে যখন কার্তিক মাস চলে আসে এবং তাপমাত্রাও কমে যায় তখন মাছ কম পাওয়া যায়। তবে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই, জেলেদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আশাকরি জানুয়ারি থেকে নদীতে পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাবে।
সান নিউজ/এসএ/এস