মাদারীপুরের কালকিনিতে সরকারি জমি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী এক নারী। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও কৃষকলীগ নেতাসহ একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন প্রবাসীর স্ত্রী ও ভুক্তভোগী নূপুর বেগম। ওই প্রভাবশালীদের বিচার এবং হাতিয়ে নেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার সকালে ভুক্তভোগীর নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নূপুর বেগম উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের উত্তর রমজানপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইব্রাহিম হাওলাদারের স্ত্রী।
লিখিত বক্তব্যে নূপুর বেগম অভিযোগ করে বলেন, রমজানপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসসংলগ্ন আমার নিজ বসতবাড়ির সামনের সড়কের পাশের জমি আমার নিজ প্রয়োজনে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জামাল খাঁনের মাধ্যমে তার ছেলে রাজিব হোসাইন রাকিব, জামালের ভাই কৃষকলীগ নেতা শাহআলম খাঁন ও রিপন খাঁনের কাছ থেকে প্রায় সোয়া দুই শতাংশ জমি ক্রয় করি। ক্রয়কৃত জমিতে আমি দোকানঘর নির্মাণ করি।
পরে নামজারি করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জানান, এটি সরকারি জমি। তাই আমার নামে নামজারি করা সম্ভব নয়। আমি ওই জমি ক্রয়ের জন্য বিক্রেতাদের ২০ লাখ টাকা প্রদান করেছি। তবে দলিলে খরচ কমানোর জন্য ৪ লাখ টাকা উল্লেখ করেছি। প্রভাবশালী মহল প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি জমি বিক্রি করে যে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, আমি সেই সব টাকা ফেরত চাই এবং তাদের বিচার দাবি করছি। টাকা ফেরত না পেলে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য জামাল খাঁন বলেন, “আমরা নূপুর বেগমের কাছে ৫ লাখ টাকায় জমি বিক্রি করেছি। তবে জমিটি সরকারি কিনা, আমরা জানতাম না।”
রমজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন, “সরকারি জমি বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি একটি প্রতারণা, এদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত।”
রমজানপুর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “নূপুর বেগমের ক্রয়কৃত জমিটি সরকারি হওয়ায় তার নামে নামজারি করা সম্ভব হয়নি।”
এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফউল আরেফীন বলেন, “বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাননিউজ/আরপি