গুরুত্ব ও উৎপাদন কৌশল নিয়ে ফেনীতে মাশরুম চাষীদের দুদিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারীদের সনদ বিতরণ করা হয়েছে হয়েছে।
গত ১৯ ও ২০ মে সকালে ফেনী পাঁচগাছিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের হল রুমে আয়োজিত প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মোহাম্মদ সোফায়েল হোসেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাঁচগাছিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের উপ পরিচালক নয়ন মনি সূত্রধরের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষন প্রদান করেন ফেনী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মহি উদ্দিন, হর্টিকালচার সেন্টারের উপসহকারী উদ্যান কর্মকর্তা আহসান মো. আবদুল্লাহ ও জয়নাল আবেদীন, মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় দুদিনব্যাপী দলভুক্ত চাষী প্রশিক্ষনে ফেনী পৌরসভার প্রায় ৩০ জন চাষী অংশগ্রহন করেন। প্রশিক্ষণে মাশরুমের গুরুত্ব, প্রকারভেদ, উপকারিতা, পুষ্টি গুন, মাশরুম উৎপাদন কৌশল বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রশিক্ষকরা বলেন, মাশরুম চাষে জমি লাগে না, সার কীটনাশক শ্রমিক লাগে না, খরচ কম, স্বল্প জায়গায় চাষ করা যায়। মাশরুম এমন একটা ফসল ঘরের সকলে এ চাষে এগিয়ে আসতে পারে। শুধু মাত্র পানি দিয়ে মাশরুম চাষ করা যায়। মাশরুম সারা বছর চাষ করা যায়। সামান্য পুঁজি দিয়ে মাশরুম চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই এটি চাষে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ এগিয়ে আসছে। মনোযোগ সহকারে প্রশিক্ষনে অংশগ্রহন করায় ৩০ জনকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
প্রশিক্ষণার্থী আরমান সোহাইন জানান, দুদিনের প্রশিক্ষণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারলে সকল প্রশিক্ষণার্থীর সফলতা আসবে। হর্টিকালচার সেন্টারের উপ পরিচালক নয়ন মনি সূত্রধর জানান, কৃষি ক্ষেত্রে কোন প্রকার জমি ছাড়া ও সামান্য পুজি দিয়ে মাশরুম উৎপাদন করে লাভবান হওয়ার কারনে অনেকে এ চাষে এগিয়ে এসেছে, এটি একটি নিরাপদ ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ সুস্বাধু খাবার ইতিমধ্যে বিভিন্ন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এর ব্যপক চাহিদা বেড়েছে। তাই সরকারি ভাবে মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ও কৃষকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এ সহজলভ্য চাষে এগিয়ে আসতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।
সাননিউজ/ইউকে