সান নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি চালান কিনেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব বাজারে গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ার পর গ্যাস কেনা বন্ধ করে দেয় সরকার। কিন্তু দাম কমায় টানা আট মাস বন্ধ রাখার পর আবারও অত্যন্ত জরুরি এ পণ্যটি আমদানি শুরু করছে ঢাকা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৩২
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) আমেরিকান প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ’র এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে।
বলা হয়েছে, বিশ্ব বাজারে দাম কমায় উন্নয়নশীল দেশগুলো আবারও নিজেদের চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে গ্যাস কিনতে সক্ষম হচ্ছে। বাংলাদেশের গ্যাস কেনার বিষয়টিই এমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলেও সেখানে জানানো হয়।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য গত সপ্তাহে ‘স্পট মার্কেট’ থেকে বাংলাদেশ এ গ্যাস কিনেছে। গত বছরের আগস্ট থেকে এশিয়ার স্পট মার্কেটে তরলীকৃত গ্যাসের দাম প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যাওয়ার পরই বাংলাদেশ গ্যাস আমদানি করলো।
আরও পড়ুন: পাম্প হাউসে অগ্নিকাণ্ড, দগ্ধ ৭
এশিয়ান এলএনজি স্পট মার্কেটে গ্যাসের দাম গত ১০ বছরের মধ্যে চড়া। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাসের মূল্যহ্রাসের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিখা দিয়েছে।
কারণ জ্বালানি সংকটের আশঙ্কা ও জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমাতে সারা দেশে ভাগে ভাগে স্বল্পসময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন (ব্ল্যাকআউট) করতে হয়েছে সরকারকে।
এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করার পর গত বছরের জুনে বাংলাদেশ অধিক তরলীকৃত গ্যাস কেনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার ঘোষণা দেয়।
বাজারে মূল্য বেড়ে যাওয়ার পর শুধু বাংলাদেশ নয়, আরও কিছু উন্নয়নশীল দেশ তরলীকৃত গ্যাস কেনা প্রায় বন্ধ করে দেয়। দেশগুলো গ্যাসের বদলে কয়লার মতো কমদামী জ্বালানির দিকে ঝুঁকে। এছাড়া কিছু দেশ গ্রাহক ও কোম্পানির কাছে গ্যাস সরবরাহে রেশনিং ব্যবস্থাও চালু করে।
আরও পড়ুন: প্রতিশোধ নিচ্ছে রাশিয়া
আরও বলা হয়েছে, এ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আর এ ঋণ পাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ঢাকার।
সান নিউজ/জেএইচ/এনকে