মুরগিতে লোকসান, ছাগলে আশা
বাণিজ্য

মুরগিতে লোকসান, ছাগলে আশা

সান নিউজ ডেস্ক : বন্ধুদের সাথে লাভের আশায় মো. জাকারিয়া লেয়ার মুরগির খামার গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিনিয়োগের পাঁচ লাখ টাকা হারিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন : দ্রব্যমূল্য কমতে শুরু করেছে

নিরাশ না হয়ে ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের খামারে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। রাজশাহীর এই খামারি এখান থেকে লাভের আশা করছেন।

খামারি মো. জাকারিয়ার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজশাহীতে কর্মরত রয়েছেন তিনি। সেই সুবাদে রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের কালিয়াপাড়া এলাকায় ৬ বিঘা জায়গায় গড়ে তুলেছেন ওয়াফা এগ্রো ফার্ম।

ওয়াফা এগ্রো ফার্ম প্রসঙ্গে জাকারিয়া বলেন, তার এক বন্ধু দীর্ঘ দিন ধরে মুরগির খামারি। লাভের আশায় সেই বন্ধুর সঙ্গে আমিও মুরগির খামারে বিনিয়োগ করি। ৪ হাজার লেয়ার মুরগির খামার গড়ে তুলি। কিন্তু করোনা মহামারিতে ডিম বিক্রি করতে পারিনি। ফলে পুঁজি হারিয়ে যায়।

আরও পড়ুন : মন্দার দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব

ছাগলের খামারের এই জায়গা মুরগির খামারের জন্য লিজ নিয়েছিলাম। লোকসানের কারণে ওই পথে আর হাঁটিনি। শেষে অনেক ভেবে-চিন্তে ছাগলের খামার গড়ে তুলি বলে জানান জাকারিয়া বলেন।

প্রথমে অর্ধেক জায়গায় ঘাস চাষ করি। বাকি অর্ধেক জাগায়গায় শেড এবং ছাগলের বিচরণ ক্ষেত্র তৈরি করি। অল্প কিছু ছাগল নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করি। এখন খামারে সব মিলিয়ে দুই শতাধিক ছাগল রয়েছে।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত খামারে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। দেড় বছরের মধ্যে বিনিয়োগ উঠে এসেছে। সামনে বছর থেকে লাভের আশা করছি। সুষ্ঠু পরিকল্পনা মাফিক ছাগলের খামার করলে লোকসানের ঝুঁকি নেই বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন : গুম নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে

তার ভাষ্য, ছাগলকে প্রাকৃতিক খাবার দেন। নিয়মিত ভ্যাকসিনও দেন। বাজারে এমন ছাগলের চাহিদা ভালো। গত কোরবানিতে কিছু খাসি বাজারে তুলেছিলেন, সাড়াও পেয়েছেন। আসছে কোরবানিতে উৎকৃষ্টমানের খাসি সরবরাহ করতে পারবেন।

তার ফার্মে কর্মী কাজ করেন চারজন। এদেরই একজন মো. পলাশ মণ্ডল। নওগাঁর নিয়ামতপুরের শিবপুর এলাকার বাসিন্দা পলাশ পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন। বাড়িতে গরু-ছাগল রয়েছে তার। সেই অভিজ্ঞতা থেকে ছাগলের খামারে কাজ করছেন।

পলাশ মণ্ডল বলেন, তারা কর্মী রয়েছেন চারজন। একেকজন একেক কাজ করেন। তিনি ছাগলের খাবার দেওয়া থেকে দেখাশোনা করেন। তার হাতে অনেক ছাগলের বাচ্চা প্রসব হয়েছে। নিজের সন্তানের মতো এগুলো লালনপালন করে বড় করছেন।

আরও পড়ুন : ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু

খামারের আরেক কর্মী রমজান আলী। তিনি ছাগলের রোগ-বালাইয়ের বিষয়টি খেয়াল রাখেন। রমজান জানান, এই জাতের ছাগলের তেমন রোগ-বালাই নেই। ঠান্ডা এবং পাতলা পায়খানা হয়।

কোনো ছাগল আক্রান্ত হলে তার তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণ করি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ দেওয়া হয়। নিয়মিত ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়। ছাগলের ঠান্ডা ঠিক না হলে নিউমোনিয়া হয়। এটিই সবচেয়ে মারাত্মক। ফলে এ নিয়ে খুব সতর্ক থাকতে হয়।

রাজশাহীর ছাগল উন্নয়ন খামারের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম ছাগলের খামারে লাভবান হতে খামার শুরুর আগে ন্যূনতম বেসিক ট্রেনিং নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন : নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল পাকিস্তান

সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে মূলত ছাগল পালন হয় গতানুগতিক পদ্ধতিতে। কিন্তু খামার করতে গেলে সবার আগে খাবারের সংস্থান করতে হবে। ৭০ শতাংশ ঘাস এবং ৩০ শতাংশ দানাদার খাবার দেওয়া গেলে ভালবান হওয়া যায়।

দেশে এক সঙ্গে ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল কিনে খামার শুরু করাও কঠিন। বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাগল সংগ্রহ করে এক সঙ্গে রাখলে পিপিআর সংক্রমণ হয়। এটিই সবচেয়ে মারাত্মক রোগ ছাগলের। এজন্য ছাগল কিনে এনে কোয়ারেন্টাইন করে পিপিআর ভ্যাকসিন দেওয়ার পর খামারে নেওয়া প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

সান নিউজ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আড়িয়ল ইউপিতে উপ-নির্বাচন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়িতে গৃহকর্মীকে জিম্মির অভিযোগ 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্...

গাজীপুরে তুলার গোডাউনে আগুন

জেলা প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলার তেল...

ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর নির্মাণাধীন ভবনের ৪ তলা থেকে পড়ে...

রাজধানীতে হিট স্ট্রোক যুবকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর আমিন বাগে মেহেদী হাসান (২৩) নামে...

ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৯ শ্রমিক নিহত

জেলা প্রতিনিধি: রাঙামাটির বাঘাইছড়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা