বাণিজ্য

ফুলের কদর কমি গেছে বাহে

আমিরুল হক, নীলফামারী: ‘কোনোঠেও প্রেম ভালোবাসার উৎসব মোর চোখত পড়েনি, ক্যান করি মানষে ফুল কিনবে, করোনাত কারো মনত শান্তি নাই। এ্যালা স্কুল-কলেজও তো বন্ধ। তাই ফুলের কদরও কমি গেছে বাহে।’

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে নীলফামারীর ফুল ব্যবসায়ী জুবায়ের আলম এভাবে হতাশার কথা জানাচ্ছিলেন। অথচ প্রতি বছর এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন ফুল ব্যবাসায়ীরা। কিন্তু এবার মুখে হাসি নেই জেলার ফুল ব্যবসায়ীদের। সারাদিন এসব ফুলের দোকানগুলো ছিল ক্রেতাশূন্য। ফলে চরম লোকসানের আশঙ্কায় ফুল ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নীলফামারী জেলায় ২০টির মতো ফুলের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী ও সৈয়দপুর শহরে রয়েছে ১৪টি। এসব দোকানে দেশি ও থাই গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, গ্ল্যাডিউলাস, জারবেরা ফুলের পসরা সাজিয়ে বসে আছে ব্যবসায়ীরা।

প্রতিটি দেশি গোলাপ ২০-৩০ টাকা, থাই গোলাপ ৪০-৫০ টাকা, গ্ল্যাডিউলাস ২০-২৫ টাকা, রজনীগন্ধা ১২-১৫ টাকা, জারবেরা ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবছর বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে ফুলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দ্বিগুণ।

কিন্তু এ বছর ফুলের দোকগুলোতে ক্রেতা তেমন চোখে পড়েনি। বেচা কেনা হয়নি তেমন। অনেক দোকনগুলোতে নানা রঙের সাজসাজ্জা দিয়ে ফুলের পসরা সাজিয়ে অলস সময় পার করছিলেন ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ দিলেন রেজা কিবরিয়া

পাপন ফুল বিতানের মালিক মবিনুল ইসলাম এ্যাপোলো জানান, এবার বেচাকেনা অনেক কম। সেটা আমরা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলাম। তাই ফুল কম উঠিয়েছি। তবুও রেহাই হলো না। যেখানে গত বছর প্রতি দোকানদার এক থেকে দেড় লাখ টাকা করে ব্যবসা করেছি। সেখানে এবার অনেকর লাভের চেয়ে ক্ষতি হবে।

অস্থায়ী ফুল বিক্রেতা সুধীর কুমার বলেন, আগে ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসব উপলক্ষে ফুল বিক্রি করে ভালোই লাভ হতো। তবে গত দুই বছর ধরে ব্যবসায় মন্দা। ভাবছিলাম এবার হয়তো ভালো লাভ হবে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও মানুষের আর্থিক অবস্থায় ভালো না থাকায় ক্রেতা আসছে না। মনে হচ্ছে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার লাভ আরো কম হবে।

আরও পড়ুন: দেশবিরোধী বিএনপিকে পরাস্ত করা হবে

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হোমায়রা মন্ডল জানান, নীলফামারীর মাটি ফুল চাষাবাদের জন্য উপযোগি। ইতিমধ্যে ফুলের ব্যবসায়ী ও আগ্রহী চাষীদের নিয়ে গাইবান্ধার বিভিন্ন ফুলের বাগান পরিদর্শন করা হয়েছে। এরপর ক্ষুদ্র আকারে সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ফুল চাষাবাদ শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফুল চাষাবাদে উদ্যোক্তা তৈরিতে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে কৃষি বিভাগ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেবে। এতে ফুলের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বাইরে থেকে আমদানী নির্ভরতা কমবে। এখানকার ফুল রপ্তানি হবে দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোতে। ফলে ফুল চাষী ও ব্যবসায়ী উভয়ে ক্ষতি পুশিয়ে লাভের মুখ দেখবে।

সান নিউজ/এমকেএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মুন্সীগঞ্জে কালবৈশাখীর আঘাত

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: এ বছ...

গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজ...

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ভোলায় কর্মসূচি 

ভোলা প্রতিনিধি: স্বাধীন ফিলিস্তিন...

ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্...

ইউরোপ সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৫ বছর পর ইউরোপ...

ডেঙ্গুতে মাকে হারিয়েছি

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্...

উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল...

সাজেকে গুলিতে আহত শিশুর মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটি জেলার সাজেকে আঞ্চলিক ২ সন্ত্রাসী...

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অ্যামি পোপের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইও...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা