নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জং কেউন বলেছেন, তার দেশ রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) খাত ছাড়াও সম্ভাবনাময় আরও ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সহযোগিতায় বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করছে।
তিনি পানাম নগরী ও বড় সরদার বাড়ি পরিদর্শনের পর তিনি এখানে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের বলেন, আরএমজি এখনও আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্কের একটি বড় অংশ দখল করে আছে। এছাড়াও অনেক কোরিয়ান কোম্পানি বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তার মিশন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করতে আরএমজি খাতের বাইরে অবকাঠামো, ফার্মাসিউটিক্যাল, আইসিটি ও আরও কিছু সম্ভাব্য খাত চিহ্নিত করেছে।
তরুণরা উন্নত ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার উৎস উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি ঢাকা ও সিউলের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের ওপর বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মের ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। তাই, আমি চেষ্টা করবো তাদের উপর মনোযোগ দিতে চেষ্টা করবো এবং আমরা যত বেশী সম্ভব কার্যক্রম হাতে নেব।
দূত বলেন, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া কীভাবে যৌথভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করবে সে বিষয়ে তার অনেকগুলো ধারণা রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেক কোরিয়ান কোম্পানি পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া এরইমধ্যে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে উল্লেখ করে দূত বলেন, পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে।
সাননিউজ/এমআর