নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-কমার্স ডিজিটাল বাংলাদেশেরই অংশ বলে মনে করেন ‘ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায় সাম্প্রতিক সমস্যা’ বিষয়ক আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া মন্ত্রীরা। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ই-কমার্স বন্ধ না করার পক্ষে মত দেন তারা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক, আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ, র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মফিজুল ইসলাম, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মেজবাউল হকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে ইকমার্স চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ব্যবসার সঙ্গে লাখ লাখ মানুষ জড়িত হয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য পরিচালিত হবে। করোনাকালে ইকমার্স সুনাম অর্জন করেছে, মানুষ উপকৃত হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অসৎ ব্যবসা ও প্রতারণার কারণে সব ইকমার্স বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হবে না। যারা অপরাধ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের প্রতারণার সুযোগ না পায়, সে জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ই-কমার্স পরিচালনার জন্য একটি রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা যেতে পারে। দেশ ডিজিটাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিছু প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য এটা বন্ধ করা ঠিক হবে না।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ই-কমার্স বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হবে না। আইনের আওতায় এনে ই-কমার্সকে সুশৃঙ্খল করতে হবে। ই-কমার্সের জন্য জামানত রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে।
সাননিউজ/এমআর