জাহিদ রাকিব
চকচকে শরীর। রঙ সাদা-কালো-পাখরা। বিশ্বখ্যাত ব্রাহমা প্রধান আকর্ষণ। দেশি-বিদেশি প্রজাতির ছাগল, উট, দুম্বা ও মোষেরও কমতি নেই। সে এক পশুরাজ্য। সাদিক এগ্রো ফার্মে গেলে এমনটিই মনে হবে যে কারও।
মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের মোড় থেকে গাবতলীর দিকে কিছুদূর এগোলেই বামদিকে সাতমসজিদ হাউজিং। তার কিছুদূর গেলেই নবীনগর হাউজিং। সেখানে বিশাল দশটি শেডে গড়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় সাদিক এগ্রো ফার্ম।
এবারের কোরবানির জন্য সেখানে প্রস্তুত আছে দুই হাজার দুইশ গরু। অনেক গরু ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানান, ফার্মটির কর্ণধার ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে তার ফার্মে গরু লালন-পালন হয়। পৃথিবীতে যত প্রজাতির পশু কোরবানির জন্য ধর্মীয়ভাবে নির্দেশনা আছে, ততপ্রকার পশুই তারা সংগ্রহ করেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, খামারে ৬০ হাজার টাকা থেকে ৬০ লাখ টাকা দামের গরুও আছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির লোকের সামর্থ বিবেচনায় নিয়েই আমরা গরু পালন-পালন করি।
খামারটিতে ব্রাহমা, হরিয়ানা, চিম্বি, সিন্ধি , শাহিওয়াল, ফ্রিজিয়ান, পাকিস্তানি ও ভুটানের ভূট্টি গরুও আছে। বিখ্যাত মিরকাদিমের গরু সবার নজর কাড়ে। গরুর ওজন ৬৫০ থেকে এক হাজার ৫০০ কেজি।
খামারের তত্ত্বাবধায়ক শরীফ হোসেন বলেন, গরুগুলোকে খাওয়ানো হয় পুষ্টিকর খাবার। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিয়ম করে খাবার দেয়া হয়। খামারের ভেতর সবসময় রাখা হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এতে থাকে রোগবালাই মুক্ত। দৈনিক দুইবেলা গোসল করানো হয় গরুকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা 'স্লটারিং সার্ভিস' বা কোরবানির পশু জবাই করে ফুড গ্রেডেড প্যাকেটে বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। গরু কেনার পর সেই গরু আর বাসায় নেয়ার দরকার নেই। ঈদের দিন বাসায় বসেই মাংস পেয়ে যাবেন। এজন্য পশুর ক্রয়মূলে্যর ১৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ লাগবে।
সাননিউজ/জেআই/এফএআর/এআর