স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট: চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে এবারের আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নিয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। বিপিএল এর ইতিহাসে এটি ৬ষ্ঠ হ্যাটট্রিক। হাই-স্কোরিং এ ম্যাচে ১৬ রানের জয় পায় স্বাগতিকরা।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেওয়া ২০৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৫৪ রান তুলে খুলনা টাইগারর্স। ১৮তম ওভারে বল হাতে আসেন চট্টগ্রামের উদীয়মান পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। প্রথম দুই বলে একটি ৬ ও একটি ৪ হাঁকান খুলনার ওপেনার এনামুল হক।
মৃত্যুঞ্জয়ের করা ওভারের তৃতীয় বলে রবি বোপারার হাতে ক্যাচ তুলে ফিরে যান এনামুল। পরের বলে আফিফের হাতে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক হোসেন। আর ওভারের পঞ্চম বলে রবি বোপারাকে বোল্ড করে বিপিএলের অভিষেকেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মৃত্যুঞ্জয়। ২০ ওভার শেষে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৬ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন এনামুল হক বিজয়। এছাড়া ৫০ রানের ইনিংস খেলেন কলিন ইনগ্রাম।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাট করতে পাঠান সিলেটের অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। ব্যাট হাতে মাত্র ৮ রানেই ফিরেন ওপেনার কেন্নার লুইস। পরের উইকেটে আফিফ হোসনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট হাতে ক্রিজে রীতিমতো ঝড় তুলেন আরেক ওপেনার উইল জ্যাকস।
মাত্র ১৮ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। এরপর অবশ্য নিজের ইনিংসটা বড় করা হয়নি এই ব্যাটারের। ১৯ বলে সাত চার এবং তিন ছয়ের মারের ৫২ রানে আউট হন জ্যাকস। আর সাব্বির রহমান আউট হওয়ার আগে করেন ৩১ রান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে হাওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নেন আফিফ। বাঁ-হাতি এই ব্যাটার ৩৮ রান করে আউট হন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের সম্ভাব্য তারিখ
ইনিংসের শেষের দিকে এবার ঝড় তুলেন হাওয়েল নিজেই। শেষ পর্যন্ত করেন ৪১ রান। মাত্র ২১ বলে খেলা এই শৈল্পিক ইনিংসটি দুটি চার এবং তিনটি চয়ে সাজানো। এদিকে মাত্র ৪ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন মেহেদি হাসান মিরাজ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০২ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক চট্টগ্রাম।
সাননিউজ/এমএসএ