নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার রমজানে সরকারিভাবে বড় ধরনের ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে বেসরকারিভাবেও এ ধরনের আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করতে বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন সংরক্ষিত ৫০ আসনের এমপিরা
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে যে নির্দেশনা এসেছে, সেটা হলো রমজান মাসে বড় ইফতার পার্টি নামে কোনো কিছু উদযাপন করা যাবে না। নির্দেশনার মধ্যে সরকারিভাবে করা যাবে না, সেটির বিষয়ে তিনি সবাইকে সতর্ক করেছেন। সরকারিভাবে করবে না, বেসরকারিভাবেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কারো যদি এ রকম ইচ্ছা থাকে, তাহলে সেই অর্থ দিয়ে খাদ্য কিনে গরিব মানুষদের মধ্যে যেন বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে আগুনে ১১ দোকান পুড়ে ছাই
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ইফতার পার্টি কোনো ধর্মীয় ইস্যু নয়। আপনাকে এটা বুঝতে হবে যে আমরা যেন অপচয় না করি, আমরা যেন লোক দেখানো কার্যক্রমে নিজেদের নিয়োজিত না করি। তার থেকে ওই টাকা যদি আপনি কারো কল্যাণে ব্যবহার করতে চান, আপনি গরিব মানুষকে সাহায্য করতে পারবেন।
আমি-আপনি বসে একটু খেলাম, ওখানে অনেক অপচয় হলো। খাদ্যের অপচয় হলো, অর্থের অপচয় হল। এটার তো কোনো যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে না। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও যৌক্তিকতা নেই।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ বা ১৩ মার্চ থেকে পবিত্র মাস রমজান শুরু হবে।
আরও পড়ুন: মিশিগানে সড়কে বাংলাদেশির মৃত্যু
মন্ত্রিসভার বৈঠকে এবারও রমজান মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিসের সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রমজানে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে যথারীতি শুক্র ও শনিবার।
তবে এ সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাক, রেলওয়ে, হাসপাতাল ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা এবং অন্য জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।
এসব প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে সময়সূচি নির্ধারণ ও অনুসরণ করবে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট ও এর আওতাধীন সব কোর্টের সময়সূচি সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারণ করবে।
সান নিউজ/এনজে