নিজস্ব প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হাঁটছে না বলে জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সংস্থাটির রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নীতি গ্রহণ করে সেটি ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি ভিন্ন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বড়লোকরা নেয়
বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
চালর্স হোয়াইটলি বলেন, আমরা নির্বাচনী পূর্ব মিশনে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমার বিশ্বাস, রাজনৈতিক দলগুলো জানে নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা। কোন দল অংশ নেবে, একান্তই তাদের ব্যাপার। নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো অবিশ্বাস থাকে, তাহলে তারা সংলাপে বসতে পারেন।
জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধার দুয়ার খুলতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, তবে তা দারুণ ইতিবাচক সিগন্যাল দেবে যে বাংলাদেশ জিএসপি প্লাসের জন্য প্রস্তুত। কারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী সবার ন্যূনতম নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র
হোয়াইটলি বলেন, ‘নির্বাচনপূর্ব পর্যবেক্ষক দল ৮ জুলাই বাংলাদেশে আসবে, থাকবে ২১ জুলাই পর্যন্ত। এসময়ের মধ্যে তারা রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবার সঙ্গে কথা বলবেন। এখানের নির্বাচনী পরিবেশ ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবেন।’
গত ২৪ মে রাতে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণার বিষয়টি জানানো হয়। এতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিকে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে বলে জানানো হয়।
সান নিউজ/আর