আমিরুল হক, নীলফামারী: দীর্ঘ ৫৮ বছর পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথ দিয়ে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চাকা ঘুরবে আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের। ট্রেনটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সোমবার ও বৃহস্পতিবার ছাড়বে।
আরও পড়ুন: অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
বিপরীত দিকে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে রোববার ও বুধবার। জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেন ছাড়বে রাত পৌনে ১২টায়। পৌনে ১১ ঘণ্টায় ৫৩৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পরদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে পৌঁছাবে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের মধ্যে ৫১৩ কিলোমিটার যেতে ট্রেনটির ৯ ঘণ্টা সময় লাগবে। ট্রেনটি একটি ডিজেল ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত হবে এবং এতে ৪টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন কোচ এবং ৪টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার থাকবে। ট্রেনটিতে দিনে যাওয়ার সময় প্রতি কেবিনে আসন মূল্য হবে ৩৩ ডলার, এসি চেয়ার ২২ ডলার। আর রাতে চার সিটের বাথের প্রতিটির মূল্য হবে ৪৪ ডলার। ট্রেনে মোট আসন থাকবে ৪৫৬টি।
আরও পড়ুন: ফের স্কুলে গোলাগুলি, নারী নিহত
বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং তার ভারতের সমকক্ষ অশ্বিনী বৈষ্ণব যৌথভাবে ভার্চুয়াল ফরম্যাটে ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর রেল ভবন থেকে “মিতালি এক্সপ্রেস”এর যাত্রার উদ্বোধন করবেন।
এর আগে দীর্ঘ ৫৮ বছর পর ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন করেন। সেদিন ট্রেনটি চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করে। তবে করোনা মহামারিতে ভিসা প্রক্রিয়া সীমিত হয়ে পড়ায় ট্রেনটি এতদিন নিয়মিত চলাচল শুরু করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে মৃত্যু ও শনাক্ত রোগী
রেল সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিস শাসন আমলে ইস্টবেঙ্গল কোম্পানি ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার এই রেলপথটি স্থাপন করে ৩টি বগির একটি স্যাটেল ট্রেন চলাচল করে ১৯৪৭ সালে। ১৯৬৫ সালের তেভাগা আন্দোলনের সময় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই রেলপথটি বন্ধ করে দেয়। রেলপথটি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন কাস্টমস অফিস কর্মকাণ্ড চালু ছিল পাসপোর্টধারীদের জন্য। হঠাৎ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ২০০৪ সালে গুটয়ে নিয়ে তা বন্ধ করে দেয়।
এদিকে, দীর্ঘ ৫৮ বছর পর বন্ধ রেলপথটি পুনরায় বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃদেশীয় এমিগ্রেশন কাষ্টম অফিসের কার্যক্রম ও যাত্রীবাহী মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চলবে এ আনন্দে ভাসছে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষ।
সান নিউজ/কেএমএল