নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযানে ১০ দিনে মোট ২৪ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
৬ জুন থেকে শুরু হয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত রাজধানীতে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে এই অভিযান চলে। ১০ দিনের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আজ সোমবার ছিল প্রথম ধাপের শেষ দিন।
এ চিরুনি অভিযানের অন্যতম সংযোজন ছিলো অ্যাপের মাধ্যমে ডাটা সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা শুরু করা। চিরুনি অভিযান চলা সময়ে যেসব বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা এর বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি বিশেষ অ্যাপে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেস তৈরি হবে। ডাটাবেস অনুযায়ী পরবর্তী ধাপে তাদের মনিটর করা সহজ হবে।
প্রথম ধাপে অভিযান পরিচালনার উদ্দেশে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করে প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়েছিলো।
প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ১টি সেক্টরে অর্থ্যাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
প্রতিটি সাবসেক্টরে চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন মশক নিধনকর্মী সমন্বয়ে গঠিত টিম অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ জন মশককর্মী বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গেয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা, কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমে আছে কিনা, ময়লা-আবর্জনা আছে কিনা যা এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক সেটি পরিদর্শনপূর্বক সেসব স্থানে লার্ভা ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করেছে।
এ অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ৯ জন কীটতত্ত্ববিদ, ডিএনসিসির ৩ জন কীটতত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রথম পর্যায়ের অভিযানের সফল সমাপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, করোনার ভয়কে জয় করে এই চিরুনি অভিযান সফল করতে আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা, ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সাহসী ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী মাসে আমরা ২য় পর্যায়ে চিরুনি অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছি।
সান নিউজ/সালি