নিজস্ব প্রতিবেদক : বাসে একটি সিট পাওয়া যেন সোনার হরিণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাচ্ছিনা। এভাবে সাননিউজ অনলাইন পোর্টালকে বলছিলেন ধানমন্ডির মধুবাজারের বাসিন্দা রাফি।
তিনি বলেন, রাস্তায় বাসের জন্য দেড় ঘণ্টা হলো দাঁড়িয়ে আছি কোনো সিট পাইনি। গাড়ির জন্য বিপাকে আছি। প্রতিদিন মিরপুর ১ নম্বরে যাই ক্লাশ করতে। আজও যাচ্ছি। কিন্তু সময়মত পৌছতে পারবো বলে মনে হয়না।
অপেক্ষায় থাকা অনেক যাত্রীরা ক্ষোভও প্রকাশ করে বলছেন,করোনার কারণে সরকার যে নিয়ম করেছে সেটা অবশ্যই ভালো। কিন্তু সরকারের উচিৎ ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণের পরিবহনের ব্যবস্থা করা। তা না করায় আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কে পর্যাপ্ত গণপরিবহন যাতে চলাচল করে সরকারের সেই ব্যবস্থা করা উচিত।
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ রোধে আজ বুধবার থেকে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে চলছে গণপরিবহণ। তবে সড়কে পর্যাপ্ত বাস না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। সকাল থেকে অফিস ও প্রয়োজনীয় কাজে মানুষ রাস্তার বের হয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু বাসে সিট পাওয়া যেন সোনার হরিণ! বুধবার সরজমিনে রাজধানীর ধানমন্ডির ১৯ ও ৩ নাম্বার সড়কে এ চিত্র দেখা যায়।
করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্ধারিত নিয়মানুযায়ী আজ বুধবার থেকে গণপরিবহনে ভাড়া আবারও ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
একই অবস্থা দেখা যায়,সায়েন্স ল্যাব ও এলাকায় রাস্তায় শত শত যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মূল স্টপেজ থেকে বাস যাত্রী নেওয়ার পর পথে আর নেওয়ার সুযোগ নেই। যাত্রীর তুলনায় বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় অফিসগামী লোকজন সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
রায়েরবাগ থেকে মোহাম্মদপুরের বসিলা পর্যন্ত চলাচলকারী পরিস্থান পরিবহনে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা থাকলেও অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক।
প্রসঙ্গত করোনা সংক্রমণ রোধে গত ২৯ মার্চ সরকার ১৮টি জরুরি নির্দেশনা জারি করে। এর মধ্যে গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ সিট ফাঁকা রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী দুই সপ্তাহের জন্য গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় গত বছর ৩১ মে বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার।
এমআর/বিএস