নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গোল্ডেন মনির গ্রেফতার হলেও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের আরও বড় মাফিয়া ডন ঢাকা উত্তর সিটির ৪৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুল ওরফে সোনা শফির। এ মাফিয়া ডনের হাত ধরেই স্বর্ণ চোরাচালানের হাতেখড়ি মনিরের।
সোনা সফির মাধ্যমেই জড়িয়ে পড়েন আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রে। গোল্ডেন মনির গ্রেফতার হওয়ায় আত্মগোপনে চলে গেছেন সোনা শফি। সূত্রমতে, সোনা শফির নানা অপরাধ ও অপকর্মের অনুসন্ধানে ইতোমধ্যেই মাঠে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
এদিকে গোল্ডেন মনিরের অর্থপাচার ও অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কী পরিমাণ স্বর্ণ দেশে চালান করেছেন তা অনুসন্ধানে শুরু হয়ে গেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তৎপরতা। অনুমোদনহীন বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি ও সংসদ সদস্যের শুল্কমুক্ত গাড়ি অবৈধভাবে বিক্রির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দুদক।
এদিকে, গোল্ডেন মনিরের অধ;পতন দেখে হঠাৎ করেই আত্মগোপনে ঢাকা উত্তর সিটির ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোনা শফি। একাধিক সূত্রের খবরে জানা গেছে, হাজার কোটি টাকার মালিক সোনা শফি এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ নানা অপরাধে জড়িত। ২০১৬ সালে কাঁচকুড়া কলেজের অধ্যক্ষ মো. জামাল উদ্দিনের ওপর হামলা চালায় সোনা শফি ও তার ক্যাডাররা।
এ ঘটনায় শফির বিচার চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদনও করেছিলেন অধ্যক্ষ মো. জামাল উদ্দিন। এলাকার আরও অনেকেই সোনা শফির ক্যাডার বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়। এতদিন তার দাপটে কেউ টুঁ শব্দটি করতে না পরলেও অনেকে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সোনা শফির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত গোল্ডেন মনিরের বাড্ডার বিলাসবহুল বাড়িতে সাড়ে ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, ৯ লাখ টাকা মূল্যমানের ১০টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা, ৪ লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল এবং কয়েক রাউন্ড গুলি জব্দ করে র্যাব।
পরবর্তীতে র্যাব জানায়, হাজার কোটি টাকার মালিক গোল্ডেন মনির। এ ছাড়া ২০০১ সাল থেকে তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং গণপূর্ত ও রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভূমি জালিয়াতি শুরু করেন তিনি।
এমনকি রাজউক থেকে প্লট সংক্রান্ত সরকারি নথিপত্র চুরি করে রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল ব্যবহার করে পূর্বাচল, বাড্ডা, নিকুঞ্জ, উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে গোল্ডেন মনির ২০২টি প্লট হাতিয়ে নিয়েছেন।
সান নিউজ/এসএ