নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাগ্যের আজও কোনও পরিবর্তন হয়নি বলে দাবি করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তারা বলেছে, “গ্রামে কিংবা শহরে উগ্র সাম্প্রদায়িক গােষ্ঠী তাে বটেই, শিক্ষালয়, চাকরি, প্রশাসন, বিচারালয়সহ রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রেই হিন্দুরা নিগৃহীত-নির্যাতিত এবং সাম্প্রদায়িক রােষানলের শিকার। হিন্দু সম্প্রদায় আজ অস্থিত্বহীনতার দ্বারপ্রান্তে। এর মূল কারণ হলাে ধর্মান্ধতা এদেশের একশ্রেণীর মানুষকে চেপে ধরেছে। জ্ঞান বিবেক ও বিচার এদের কাছে মূল্যহীন।”
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মন্ডল।
ফেসবুকে প্রচারকৃত ‘মিথ্যা ধর্ম অবমাননার দায়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার’ ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং ‘সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযােগকারী’ আসামিদের এসময় গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পাশাপাশি নির্যাতিত সব পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযােগে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পুনর্নির্মাণ এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাগ্যের আজও কোনাে পরিবর্তন হয়নি। গ্রামে কিংবা শহরে উগ্র সাম্প্রদায়িক গােষ্ঠী তাে বটেই, শিক্ষালয়, চাকরি, প্রশাসন, বিচারালয়সহ রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রেই হিন্দুরা নিগৃহীত-নির্যাতিত এবং সাম্প্রদায়িক রােষানলের শিকার। হিন্দু সম্প্রদায় আজ অস্থিত্বহীনতার দ্বারপ্রান্তে। এর মূল কারণ হলাে ধর্মান্ধতা এদেশের একশ্রেণীর মানুষকে চেপে ধরেছে। জ্ঞান বিবেক ও বিচার এদের কাছে মূল্যহীন।
কপিল কৃষ্ণ দাবি করেন, একদল উগ্র মৌলবাদী গােষ্ঠী মিথ্যা গুজব রটিয়ে হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় মাইকে ঘােষণা দিয়ে ভিটে-মাটি ছেড়ে পালিয়ে দেশত্যাগ করতে হুমকি দেয়া হচ্ছে। দেবালয় বা মন্দির, হিন্দুবাড়ি, হিন্দু নারী, হিন্দুদের জমি ও দেবােত্তর সম্পত্তি তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত প্রফেসর ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সহদেব চন্দ্র বৈদ্য, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত নাথ জুয়েল, কোষাধ্যক্ষ সাধন চন্দ্র দাশ, অফিস সম্পাদক বাদল কৃষ্ণ সাহা, সুবির কান্তি সাহা, শূক্লা রায়, উজ্জ্বল জয়ধর শ্রাবণ উপস্থিত ছিলেন।
তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কর্তৃক আয়ােজিত গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশের সঙ্গে একাত্মতা ঘােষণা করা হয়। এছাড়া ১৩ নভেম্বর ৩০টিরও বেশি দেশে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়া হয়।
সান নিউজ/এস