বড় অনুষ্ঠান ও সাজসজ্জা পরিহারের নির্দেশনা
জাতীয়

বড় অনুষ্ঠান ও সাজসজ্জা পরিহারের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় পর্যায়ের উৎসব ছাড়া সাধারণ বিভিন্ন দিবসে বড় ধরনের অনুষ্ঠান ও সাজসজ্জা পরিহারের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিবস পালন উপলক্ষে ৮ বছর আগের এ সংক্রান্ত পরিপত্র সংশোধন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাধারণ সেবা শাখা থেকে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, পারতপক্ষে কর্মদিবস ও অফিস চলাকালীন এসব অনুষ্ঠান আয়োজন না করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সরকার নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো কিভাবে পালন করতে হবে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে এই নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরিপত্র অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ের উৎসব ছাড়াও সাধারণ বিভিন্ন দিবসে সাজসজ্জা ও বড় ধরনের বিচিত্রানুষ্ঠান যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। তবে বেতার ও টেলিভিশনে আলোচনা এবং সীমিত আকারে সেমিনার বা সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা যাবে। কর্মদিবসে সমাবেশ বা শোভাযাত্রা পরিহার করতে হবে। কোনো সপ্তাহ পালনের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানসূচি সাধারণভাবে ৩ দিনের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে গৃহীত কোনো কর্মসূচি যাতে অফিসের কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত না ঘটায় তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আলোচনা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছুটির দিনে অথবা অফিস সময়ের পরে আয়োজনের চেষ্টা করতে হবে। নগদ কিংবা উপকরণ আকারে অর্থ বা সম্পদ ব্যয়ের প্রয়োজন হবে, এমন সাধারণ অনুষ্ঠানগুলো ছুটির দিনে কিংবা কার্যদিবসে আয়োজন করা যাবে। যেমন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রচার, পতাকা উত্তোলন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ঘরোয়া আলোচনাসভা, বেতার ও টেলিভিশনে আলোচনা, পত্রিকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাবে। তবে কোনো দিবস বা সপ্তাহ পালন উপলক্ষে রাজধানীর বাইরে থেকে বা জেলাপর্যায় থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢাকায় আনা যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে।

পরিপত্র অনুযায়ী, ‘ক’ শ্রেণিতে থাকা ১৮টি দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন বা পালন করা হবে। ‘খ’ শ্রেণির ৩৪টি দিবসের মধ্যে যেসব দিবস ঐতিহ্যগতভাবে পালন করা হয়ে থাকে অথবা বর্তমান সময়ে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণের জন্য বিশেষ সহায়ক, সেসব দিবস উল্লেখযোগ্য কলেবরে পালন করা যাবে। মন্ত্রীরা এসব অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত থাকবেন এবং এ ধরনের অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে। এ পর্যায়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সরকারি উৎস থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা যেতে পারে।

আর ‘গ’ শ্রেণিতে থাকা ৩৩টি দিবস নিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিশেষ খাতের প্রতীকী দিবসগুলো সীমিত কলেবরে পালন করা হবে। মন্ত্রীরা এসব দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির বিষয় বিবেচনা করবেন, তবে উন্নয়ন খাত থেকে এসব দিবস পালনের জন্য কোনো বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে না।

তিন ধরনের দিবস ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো আরও কিছু দিবস পালন করে থাকে, যেগুলো গতানুগতিক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এগুলো পুনরাবৃত্তিমূলক এবং বর্তমান সময়ে তেমন কোনো গুরুত্ব বহন করে না। সরকারের সময় ও সম্পদ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারি সংস্থাগুলো এ ধরনের দিবস পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পরিহার করতে পারে বলেও পরিপত্রে বলা হয়েছে। তবে শিক্ষা সপ্তাহ, প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ, বিজ্ঞান সপ্তাহ, বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ (১-৭ আগস্ট), বিশ্ব শিশু সপ্তাহ (২৯ সেপ্টেম্বর-৫ অক্টোবর), সশস্ত্র বাহিনী দিবস (২১ নভেম্বর), পুলিশ সপ্তাহ, বিজিবি সপ্তাহ, আনসার সপ্তাহ, মৎস্য পক্ষ, বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং জাতীয় ক্রীড়া সপ্তাহ পালনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

সাননিউজ/আরএইচ | Sun News

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ইউক্রেনে এক রাতে ৬০০’র বেশি ড্রোন-মিসাইল হামলা চালাল রাশিয়া

রাশিয়া এক রাতে ইউক্রেনের দিকে ৫৭৪টি ড্রোন ও ৪০টি মিসাইল ছুড়েছে—যা সাম্প...

‘১% মিডিলম্যান, ৫% মিনিস্ট্রির’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার প্রেস সেক্রেটারির বিরুদ...

ভাত না জোটার দেশে হাঁসের মাংসবিলাস শোভনীয় নয়: আলাল

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, দুই...

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর

আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা মামলার সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে...

রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ অনুমোদন

‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নীতিগত...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা