আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে ৪০ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় পুলিশ। দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসের অপরাধে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জাল পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের ভিওয়ান্ডি ও এর আশপাশের এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। বুধবার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই ও সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ।
ভারতীয় এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই ৪০ বাংলাদেশিকে মুম্বাইয়ের পার্শ্ববর্তী থানে জেলার অধীনস্থ ভিওয়ান্ডি শহর ও এর আশপাশের এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ সময় আটককৃতদের অনেকের কাছ থেকে জাল পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।
ভিওয়ান্ডি শহরের জোন-২ এর ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) যোগেশ চভন সাংবাদিকদের জানান, আটকরা বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তারা তিনটি আলাদা থানা এলাকায় বসবাস করতেন।
তিনি আরও জানান, আটককৃতদের কাছে ভারতে অবস্থানের জন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় পাসপোর্ট আইনে এবং বিদেশি নাগরিক আইনে মামলা করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
টাইমস নাউ এর প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুম্বাইয়ের শান্তিনগর এলাকা থেকে ২০ জন, ভিওয়ান্ডি শহর থেকে ১০ জন ও নারপোলি পুলিশ স্টেশন এলাকা থেকে ১০ জন বাংলাদেশিকে মঙ্গলবার আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জাল পাসপোর্ট, ভুয়া আধার কার্ড ও প্যান (পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নাম্বার) কার্ড উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে ২৮টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে পুলিশ। যার মূল্য ৯৪ হাজার ভারতীয় রুপি।
আটক বাংলাদেশিরা এসব ভুয়া নথিপত্রে মুম্বাই, গুজরাট ও ভিওয়ান্ডির বিভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন। তারা রেশন কার্ডও তৈরি করে ফেলেছিলেন। আর এই রেশন কার্ড ব্যবহার করে তারা রাজ্যের দরিদ্র মানুষের মতো সুবিধা ভোগ করছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর একটি ট্রেন থেকে ১৩ বাংলাদেশিকে আটক করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। ৯ জন নারী, তিনজন শিশু ও এক যুবকের ওই দল পাচারের শিকার হয়েছিলেন। তারা সবাই ভুয়া পরিচয়পত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং ট্রেনে করে কলকাতা থেকে মুম্বাই যাওয়ার পথে নাগপুর রেলস্টেশন থেকে আটক হন। সূত্র : এএনআই ও টাইমস নাউ।
সান নিউজ/এএএইচ