নিজস্ব প্রতিবেদক: হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির উদ্দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, হাইকোর্টের ঈদগাহ মাঠ জনসভার জন্য খুলে দিন, তাহলে সেখানে মানুষ অন্যায় অবিচার নিয়ে কথা বলবে, সেগুলো আপনাদের কানে পৌঁছাবে।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি একটি খুনের মামলায় দুই বিচারপতি বাংলাতে রায় দিয়েছেন। তাদের অভিনন্দন। একইভাবে যখন পরীমণিকে হয়রানি করা হচ্ছিল তারা দুই বিচারপতি প্রতিকারের চেষ্টা করেছেন। আমাদের যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্ট আছে। তারমধ্যে সবচেয়ে গুণী ও সজ্জ্বন বিচারপতি হলেন বিচারপতি এনায়েতুর রহিম। আর সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে এ বি এম খায়রুল হক।
বিচারপতি এনায়েতুর রহিমকে উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আজকে আপনি যদি আর একটু সাহসিকতা না দেখান এদেশে মানুষ কোথায় যাবে। এদেশের গণতন্ত্র হত্যার হোতা একজন বিচারপতি। তিনি এবিএম খায়রুল হক। আমি আইনের লোক না। আপনি এক রায় লিখলেন তিনমাস পর, আবার বদলানেন। আপনারা বিচারপতিরা তাকে সুয়োমটো করে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে এনে দাঁড় করান। গণতন্ত্র হত্যার মূল নায়ক এবিএম খায়রুল।
তিনি আরও বলেন, উনি অবসরের পর আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হলেন। প্রধান বিচারপতির সুযোগ সুবিধা নিলেন। এটা কি দুর্নীতি না। যে দুর্নীতির অপরাধে খালেদা জিয়ার দুই কোটি টাকার জন্য মামলা হয়েছে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনি তো জানেন, খুনের আসামিরও জামিন হয়। আপনি যেখানে বসে আছেন, সেখানে রায় হয়। এক রিকশাওয়ালা তার স্ত্রীকে হত্যা করেছিল তার নিম্ন আদালতে ফাঁসির রায় হয়। যা সব আদলতেই বহাল থাকে। তবে মৃত্যুদণ্ডের আগ পর্যন্ত সে জামিনে ছিল। এ উদাহরণ তো আপনারাই তৈরি করেছিলেন। তাহলে খালেদা জিয়ার কেন জামিন হবে না।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পত্রিকায় দেখলাম আইনমন্ত্রী বলেছেন ৪০ লাখ কেস পেন্ডিং আছে। তাহলে আপনারা সপ্তাহে পাঁচদিন ছুটি কাটান কেন। ৪০ লাখ কেস মানে কত মানুষ বিচারের আশায় আছে। আপনারা সেগুলো ঠিক করেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ