রাজনীতি

‘কোন আলেম চুক্তিতে ওয়াজ করতে পারবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুক্তিভিত্তিতে ওয়াজ মাহফিলে বয়ান করা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম দাবি করে ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, আমরা বছর শেষে অপেক্ষা করি একজন ভালো ইসলামী বক্তা এলাকায় বা মাদ্রাসায় এনে তার ওয়াজ শুনবো। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ওয়াজিনদের দাওয়াত করতে গেলে তারা যে টাকা ডিমান্ড করে ওই বক্তাকে ডিমান্ডের কারণে আনা সম্ভব হয় না।

তোপখানা রোডে ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির এক জরুরি সভা শেষে দপ্তর সম্পাদক মাওলানা মো. জহিরুল ইসলাম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, অনেক ছোট ছোট মাদ্রাসার ছাত্ররা এই ওয়াজ মাহফিলের কালেকশন করতে গিয়ে মারাও গিয়েছে এবং অনেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। শিক্ষকদের সব সময় ওয়াজিনের টাকা জোগাড় করার জন্য পেরেশানি অবস্থায় সময় কাটাতে হয় এবং তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। আমি সরকারকে বলবো, ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি নীতিমালা তৈরি করে দেশের সব এলাকায় প্রশাসনের কাছে বিধিমালা পাঠিয়ে দিতে হবে। যাতে করে কোন ওয়াজিন চুক্তির মাধ্যমে ওয়াজ করতে না পারে।

তিনি বলেন, ছোট খাট মাদ্রাসায় তো প্রশ্নই আসে না। বহু মাদ্রাসায় অতীতে দেখা গেছে ছোট ছোট কোমল ছেলে সন্তানেরা অল্প কিছু টাকার জন্য মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হাত পাততে হয়। এটা একটি অমানবিক ও ছাত্রদের ওপরে জুলুম। এটা ইসলামে সম্পূর্ণরূপে হারাম।

যেকোন ওয়াজ মাহফিলে বক্তাগণ রাষ্ট্রে কোন প্রকারের সহিংসতা হবে এমন উৎচ্ছশৃঙ্খলামূলক বক্তব্য দিতে পারবে না দাবি করে তিনি বলেন, যদি দেয়, তার বিরুদ্ধে ঐ বিধিমালা অনুযায়ী মামলা হবে। ওয়াজ হবে হেদায়েতের, মাদকের বিরুদ্ধে, সমাজ বিরোধী যেসব
কার্যকলাপ আছে এবং এলাকার বিচার আচার ইনসাফের সাথে হয়। কেউ যেন কারও থেকে না ঠকে। মা-বাবাকে ছেলে কীভাবে ইজ্জত-সম্মান করবে ও তার হক কী? পুত্র বধু থেকে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি কী সম্মান পাবে? কবরের আযাবের বয়ান হবে। স্বামী স্ত্রীর সাথে কী ধরনের আচার-আচরণ করবেন, এই বয়ানগুলি ওয়াজ মাহফিলে করবে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় বর্তমানে ওয়াজিনরা সরকারের সমালোচনা না করলে শরীর গরম হয় না। তাই আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করবো আমার উল্লেখিত বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।

ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি তরমুজ পিস হিসাবে বিক্রি হয়। এখন কেন তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি হবে, এটা সরকারের কাছে আমার প্রশ্ন।

সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা হযরত মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব কাজী মাওলানা শাহ্ ওমর ফারুক, মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা কাজী আব্দুল কাইয়ুম, ক্বারী মো. আলী হায়দার, মাওলানা মো. শহীদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

সাননিউজ/টিএস/

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভূমি অফিসে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, নীরব প্রশাসন; ফুঁসছে জনগন!

মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জারিকারক লুৎফা আক্তার (৪৫)...

ছাত্রলীগ সভাপতির বসতঘরে আগুন

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মাছুম বিল্লাহ বাপ্পির...

মুন্সীগঞ্জে বিএনপির চার নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের চার নেতার আবেদনের প্রেক্ষিতে বহিষ্কার...

নোয়াখালীতে মধ্যরাতে ফুটবল খেলা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ১৮

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ও মুছাপুর ইউনিয়নের মধ্যে মধ্যরাতে ফুটবল খেলাক...

আজ সেই ভয়াল ১৫ নভেম্বর, ১৮ বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি উপকূলবাসী

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর—দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনে এক বিভীষিকাময় রাত। ভয়...

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ‘শাটডাউন’ পালন

ডাসার উপজেলার গোপালপুর থেকে মেলকাই পর্যন্ত নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতাকর্...

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি: ২৬ বাংলাদেশির দলে চারজনের মৃত্যু

লিবিয়ার উপকূলে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত চা...

নোয়াখালীতে মধ্যরাতে ফুটবল খেলা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ১৮

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ও মুছাপুর ইউনিয়নের মধ্যে মধ্যরাতে ফুটবল খেলাক...

আজ সেই ভয়াল ১৫ নভেম্বর, ১৮ বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি উপকূলবাসী

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর—দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনে এক বিভীষিকাময় রাত। ভয়...

দেশ স্বাধীনের ৫৪ বছরেও এ জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি: আকন

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইসলামী আন্দোলন বাং...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা