আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ২৩৭টি আসনে যেসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের নাম তারুণ্যের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে উল্লেখযোগ্য।
বিএনপির ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন শ্রাবণ। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনীতদের মধ্যে রকাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ সবচেয়ে কম বয়সী বলে জানিয়েছেন তিনি।
কেশবপুরের সন্তান কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বাংলা বিভাগ থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্নাতকোত্তর সান্ধ্য কোর্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০২২ সালে ছাত্রদলের সভাপতি হন।
২০২৩ সালের আগস্টে ‘অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে দুই মাসের মাথায় তাকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়।
সোমবার বিকালে ২৩৭টি আসনে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাতে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে প্রার্থী হিসেবে রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের নাম ঘোষণা করা হয়।
দলের মনোনয়ন পাওয়ায় রওনকুল ইসলাম বলেন, “এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কেশবপুর আসনটিতে দীর্ঘদিন ধানের শীষের প্রার্থী ছিল না। আমি জনগণের ভোটে এই আসন পুনরুদ্ধার করতে চাই। দল আমার ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে, তার প্রতিদান দিয়ে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকা আমার প্রধান কাজ হবে।”
এখন পর্যন্ত তিনিই বিএনপির সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী। এ কথা উল্লেখ করে রশ্রাবণ বলেন, “বিএনপির ৩১ দফায় তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার ঘোষণা আছে। আমি নির্বাচিত হলে বিশেষ করে কেশবপুরের তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য কাজ করব। তরুণদের মাদক থেকে সরিয়ে কীভাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার দিকে নেওয়া যায়, সেই বিষয়েও আমি কাজ করব এবং দলকে শক্তিশালী করার জন্য অবিরত চেষ্টা চালাব।”
সাননিউজ/আরপি