সংগৃহীত ছবি
লাইফস্টাইল

১৪ ফেব্রুয়ারি কেন ভালোবাসা দিবস?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ভালোবাসা ও ভালোলাগা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ভালোবাসা প্রকাশ করায় জীবনও দিতে হয়েছে অনেককে। তাদের মহিমান্বিত করতেই প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় 'ভ্যালেন্টাইন ডে' বা ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসার জন্য জীবন ত্যাগের ইতিহাসই ‘ভ্যালেন্টাইনের মূলমন্ত্র।’

আরও পড়ুন: বসন্তে নিজের যত্ন

রোমের ধর্মযাজক ও চিকিৎসক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের ইতিহাসটি সবচেয়ে প্রচলিত ইতিহাস। তিনি ছিলেন একজন মানবপ্রেমিক ও খ্রিস্টধর্ম প্রচারক। অন্যদিকে, রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ছিলেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজারী। সম্রাটের পক্ষ থেকে তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে আদেশ দেওয়া হয়। ভ্যালেন্টাইন অস্বীকৃতি জানালে, তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। সম্রাটের খ্রিস্টধর্ম ত্যাগের আজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করায় ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। সেই থেকেই পালিত হয়ে আসছে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে।’

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

ইতিহাস হতে বর্ণিত, কারারুদ্ধ অবস্থায় অনেক যুবক-যুবতী প্রতিদিন তাকে কারাগারে দেখতে আসত , তার উৎসাহ এবং উদ্দীপনা ধরে রাখতে উদ্দীপনামূলক কথা বলতো এবং ফুল উপহার দিত। সেখানকার এক কারারক্ষীর অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেত। দীর্ঘ সময় ধরে দুজন প্রাণ খুলে কথা বলতো এবং একসময় ভ্যালেন্টাইন অন্ধ মেয়েটির প্রেমে পড়ে যায়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় মেয়েটি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়।

আরও পড়ুন: বেগুন পোড়ানোর রেসিপি

খ্রিস্টীয় ইতিহাস তথ্যমতে, রক্তপিপাষু ক্লডিয়াসের প্রয়োজন ছিলো এক বিশাল সৈন্যবাহিনীর। কিন্তু প্রজারা তার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে নারাজ। তিনি লক্ষ্য করলেন, যুদ্ধের কঠিন মুহূর্তে অবিবাহিত যুবকরা অত্যধিক ধৈর্য্যের পরিচয় দেয়। তখন তিনি যুবকদের বিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। যাতে তাদের সেনাবাহিনীতে যোগদানে পিছুটান না থাকে। সম্রাটের এ ঘোষণা শুনে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনসহ দেশের যুবক-যুবতীরা ক্ষেপে যায়। তারা সম্রাটের এ নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। তারপর ভ্যালেন্টাইন সেন্ট মারিয়াসকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। তিনি গোপনে গির্জায় বিয়ে পড়ানোর কাজও শুরু করেন। রাজার আজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করায় সম্রাট ক্লডিয়াস সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সৈন্যরা তাকে হাত-পা বেঁধে সম্রাটের সামনে হাজির করেন ।

আরও পড়ুন: রূপচাঁদার দোপেঁয়াজা রেসিপি

এছাড়াও খ্রিস্টীয় ইতিহাস মোতাবেক, রোমে খ্রিস্টীয় এক রীতি প্রচলিত ছিলো, মধ্য ফেব্রুয়ারিতে গ্রামের সকল অবিবাহিত যুবকরা সব মেয়েদের নাম চিরকুটে লিখে একটি পাত্রে জমা করতো। তারপর, ওই পাত্র থেকে যুবকরা একটি করে চিরকুট তুলত, যার হাতে যে মেয়ের নাম উঠত, সে নির্দিষ্ট বছরের পূর্ণ অবসরে মেয়েটির প্রেমে মগ্ন থাকত। 'প্রতিমা মাতার নামে তোমার প্রতি এ পত্র প্রেরণ করছি' - এই বলে যুবকরা যুবতীদের চিঠি লিখতো। বছর শেষে এ সম্পর্ক আবার নবায়ন করা হতো। পাদ্রীর গোচরীভূত হওয়ায়, সমূলে উৎপাটন অসম্ভব ভেবে একে খ্রিস্টান ধর্মায়ণ করে দেয়। অতঃপর আদেশ জারি করে পত্রগুলো 'সেন্ট ভ্যালেনটাইন'-এর নামে প্রেরণ করার, যাতে এটা সময়ের সাথে সাথে খ্রিস্টান ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: মিষ্টি আলুর উপকারিতা

খ্রিস্টীয় আরেক ইতিহাসে বর্ণিত রয়েছে, প্রাচীনকালে রোম নগরীতে দেবতাদের রানি জুনোর সম্মানে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছুটি পালন করা হতে। রোমানরা জুনোকে বিয়ের দেবতা মনে করতো। তারা বিশ্বাস করত যে, জুনোর ইশারা ছাড়া কোনো বিয়ে সফল হয় না। ছুটির পরদিন ১৫ই ফেব্রুয়ারি লুপারকালিয়া ভোজ উৎসব হতো। যেখানে হাজারও তরুণ-তরুণীরা জমায়েত হতো। উৎসবে র‌্যাফেল ড্র'র মাধ্যমে তরুণরা সঙ্গী বাছাই করত। ভোজ উৎসবে উপস্থিত তরুণীরা তাদের নামাঙ্কিত কাগজ জনসম্মুখে রাখা একটি বড় পাত্রে ফেলত। যুবকেরা কাগজে লিখা তরুণীকে কাছে ডেকে নিত। এতে কোনো নির্দিষ্ট ধরাবাঁধা সময় ছিলো না, কখনো সারা বছরের জন্য স্থায়ী হতো এবং বিয়েতে পরিণতি পেত ওই সম্পর্ক। সেই থেকেই পরিচিতি পায় 'ভ্যালেন্টাইন ডে' বা ভালোবাসা দিবস।

সান নিউজ/এএন/এস আর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা

এক সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্র...

কেশবপুরে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

যশোর জেলার কেশবপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরা...

শিক্ষকদের বাড়িভাতা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি, কতটা স্বস্তি আসবে?

টানা আটদিনের আন্দোলনের পর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়...

আল-আমিন মডেল একাডেমিতে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

কেশবপুর আল-আমিন মডেল একাডেমির আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনু...

নোয়াখালীতে মসজিদে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ৪০

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় প...

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জুলাই যোদ্ধাদারা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে গত ১৭ অক্টোবর জ...

দেশে পর্নোগ্রাফির সঙ্গে সম্পৃক্ত যুগল গ্রেপ্তার

বাংলাদেশে বসবাস করেই আন্তর্জাতিক পর্নো ইন্ডাস্ট্রিতে শীর্ষ অবস্থানে থাকা এক য...

সারজিস আলমের গাড়িবহরে ককটেল হামলা

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের গা...

ভোটের মাঠে প্রায় ১ লাখ সেনা সদস্য থাকবে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ থেকে ১ লাখ সেনা দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন...

শিক্ষকদের আন্দোলনে বিএনপির সংহতি প্রকাশ

শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছে বিএনপি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা