আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের বিষয়ে আজ বুধবারই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশের ভিত্তিতে এ ব্যবস্থা নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে এএফএম শাহীনুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার সমকালকে জানান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএফআইইউ প্রধান প্রধান ছুটিতে থাকবেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ অথচ আজ অফিস করেছেন বিএফআইইউ-এর প্রধান শাহীনুল। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তোজনা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বিকেল পাঁচটার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক সমকালকে বলেন, সরকার বিএফআইইউ প্রধানকে দিয়েছে তার বিষয়ে আজকেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কী ধরনের পদক্ষেপ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু সময় অপেক্ষা করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে চিঠি আসবে তার ভিত্তিতেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএফআইইউ প্রধান নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সার্চ কমিটি যাকে প্রথম নির্বচান করেছিলেন তাঁকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সর্ব কমিটিকে পাশ কাটিয়ে মন্ত্রণালয় নতুন কিছু করেনি।
গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের একটি অংশ অবিলম্বে তাঁকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে গভর্নর বরাবর স্মারকলিপি দেয়। এর আগে গত সোমবার শাহীনুলের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শাহীনুল ইসলাম এটিকে ভুয়া দাবি করলেও প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ভিডিও সঠিক বলে জানতে পেরেছে।
এছাড়া বিতর্কিত পরিবহন ব্যবসায়ী এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেন এএফএম শাহীনুল ইসলাম। এক্ষেত্রে অনৈতিক কিছু হয়েছে কিনা সে বিষয়েও তদন্ত করা হবে বলে জানা গেছে।