লাইফস্টাইল ডেস্ক: ভালোবাসা, দুঃখ-বেদনার মত রাগও একটি আবেগ। অতিরিক্ত ক্রোধের প্রভাব ব্যক্তিজীবন, সামাজিক ও পেশাগত জীবনেও পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: রেগে গেলেন তো মোটা হলেন!
অনেকেই রেগে গেলে ভাঙচুর করেন, উচ্চস্বরে চিৎকার করেন, এমনকি গায়ে হাতও তুলে ফেলেন। ব্যক্তিজীবন, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে অতিরিক্ত রাগের প্রভাব পড়তে পারে। দেখা দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপ, খিটখিটে মেজাজের মতো সমস্যাও। তাই লাগাম টেনে ধরতে হবে এই রাগ নামক আবেগের।
রাগ কমানোর কয়েকটি সহজ উপায়ের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট 'মায়ো ক্লিনিক'। আসুন জেনে নিই সেগুলো-
দ্রুত স্থান ত্যাগ করুন:
হঠাৎ বেশি রাগ করে ফেললে সেই সময় ওই স্থান দ্রুত ত্যাগ করার চেষ্টা করতে হবে। যে মানুষটির ওপর আপনার রাগ তার কাছ থেকে কিছু সময়ের জন্য দূরে থাকলে কিছুক্ষণ পর রাগ নিজে থেকেই কমে আসতে পারে। নিজেকে পরাজিত মনে করবেন না। বরং ভাবুন আপনি রাগকে পরাজিত করে নিজে জয়ী হয়েছেন। স্থান ত্যাগ করা যদি সম্ভব না হয়, অবস্থান পরিবর্তন করুন। যেমন আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পড়ুন।
আরও পড়ুন: ডাবের পানি খেলে কি হয়?
কারো সঙ্গে কথা বলুন:
যদি রাগ অপ্রকাশিত থেকে যায় তবে প্রিয় মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। কেমন অনুভব করছেন সে সম্পর্কে বিশ্বস্ত কারো সঙ্গে যেমন বাবা-মা প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে কথা বললে মনের ভার কমে যেতে পারে। তবে এমন কাউকে বলা উচিত নয় যিনি আপনার অনুভূতিকে সম্মান করবেন না। এমন কাউকে যদি খুঁজে না পান এবং পরিস্থিতি যদি আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে তবে পেশাদার অনলাইন না অফলাইন কাউন্সিলিং করেন এমন কারো শরণাপন্ন হতে পারেন।
নিঃশ্বাসের ব্যায়াম:
তাৎক্ষণিক রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিঃশ্বাসের ব্যায়াম বেশ পুরনো ও কার্যকরী পদ্ধতি। রাগ থেকে মনটাকে সরিয়ে নিশ্বাসের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বুক ভরে গভীর নিশ্বাস নিন, সেটাকে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন, কিছুক্ষণ পর বাতাস ছেড়ে দিন। এটি রাগ কমাতে সহায়তা করে।
বলার আগে সময় নিন:
মুহূর্তের উত্তাপে এমন কিছু বলা উচিত নয় যার জন্য পরবর্তীতে অনুশোচনা করতে হয়। রাগের মুহূর্তে আমরা এমন সব কথা বলে ফেলি যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তোলে।কিছু বলার আগে নিজে চিন্তা করে নিন কয়েক মুহূর্ত। ভাবুন, আপনার এই কথা বা আচরণে আরেকজনের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে।
আরও পড়ুন: খেজুর খেলে যা হয়
ক্ষমা করতে শিখুন:
রাগকে নিজের মধ্যে পুষে না রেখে, ক্ষমা করতে শিখুন। ক্ষমা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। আপনি যদি রাগ বা অন্যান্য নেতিবাচক অনুভূতিগুলোকে নিজের মধ্যে লালন করতে থাকেন তবে নিজের ভেতরের তিক্ততা আপনাকে আরও গ্রাস করবে।
লিখে রাখুন:
কোন পরিস্থিতিতে আপনি কেন রাগ করছেন বা কেমন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন, কীভাবে আপনি অনুভূতিকে প্রকাশ করছেন সেগুলো একটি খাতায় লিখে রাখুন। কীভাবে আপনি আপনার রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান সেটিও লিখে ফেলুন এবং বারবার নোটটি পড়ুন।এই পদ্ধতিটি আপনাকে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার সুযোগ দেবে, পাশাপাশি নিজের রাগকে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি যোগাবে।
আরও পড়ুন: স্যালাইনের বিকল্প কী হতে পারে?
উল্টো গণনা শুরু করুন:
বহুকাল ধরে প্রচলিত এই প্রক্রিয়াটি রাগ নিয়ন্ত্রণে সত্যিই ভাল কাজ করে। মনে হচ্ছে কোন ঘটনায় আপনি বিরক্ত হচ্ছেন, ভেতরে ভেতরে রেগে যাচ্ছেন তখন পিছন দিক থেকে ১০০ গুনতে শুরু করুন। এটি সাময়িকভাবে আপনার মনোযোগকে সরিয়ে দেবে এবং কোনো নেতিবাচক চিন্তা করার আগে বেশ কিছুটা সময় পাওয়া যাবে রাগকে নিয়ন্ত্রণে আনার।
সান নিউজ/এইচএন