সান নিউজ ডেস্ক: বলিউডের আবেদনময়ী অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। চলতি বছর ৪৩ বছরে পা দিয়েছেন ‘দ্যা ডারটি পিকচার’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। তবে এখনো ত্বকে ধরে রেখেছেন তারুণ্যের আভা। ত্বকের সজীবতা ধরে রাখা খুব সহজ কাজ নয়।
আরও পড়ুন: আমি আল্লাহর ওপর ভরসা রাখি
তবে ত্বকের যত্নে বেশ পরিশ্রম করেন বিদ্যা। কাজের যতই চাপ থাকুক, বিদ্যা ত্বকের পরিচর্যা করতে ভোলেন না। শুটিং থেকে বাড়ি ফিরতে রাত হলেও যত্ন সহকারে মেক আপ তুলে তারপর ঘুমাতে যান।
শুটিং কিংবা ছবির প্রচার-সর্বত্র নিজের ব্যাগে রাখেন ময়েশ্চারাইজার, হ্যান্ড ক্রিম। কয়েক মিনিট অন্তর সেগুলো ব্যবহার করেন। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই সাবান ব্যবহার করেন না। বিদ্যা কিন্তু সাবান ব্যবহার করেন। তবে বাজারে যেগুলি কিনতে পাওয়া যায়, তা নয়। বাড়িতে প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি সাবানই ত্বকের যত্নে ব্যবহার করেন তিনি। জুঁই ফুলের নির্যাস দিয়ে তৈরি সাবান বিদ্যার সবচেয়ে প্রিয়।
ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়ার অন্যতম দু’টি কারণ হলো পানি পান না করা আর ঘুম কম হওয়া। এই দু’টি দিকেই বিদ্যার সবচেয়ে বেশি নজর। পর্যাপ্ত ঘুমোনোর চেষ্টা করেন। ব্যস্ততার কারণে ঠিক করে ঘুম না হলে, পরে যে দিন ছুটি পান তখন ঘুমিয়ে নেন। সারা দিনে আর কিছু না খেলেও পানি খেতে ভোলেন না নায়িকা। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করেন বিদ্যা।
ব্রণর সমস্যা রয়েছে বিদ্যারও। তবে ব্রণ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন না। ব্রণ তাড়াতে ভরসা রাখেন অ্যালোভেরা জলের উপর। ত্বকের পাশাপাশি চুল ভালো রাখতেও সমান পরিশ্রম করেন। দু’দিন অন্তর নারকেল তেল মাখেন চুলে। এক সপ্তাহ অন্তর স্পা করেন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এসব কথা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: আবারও ফেঁসে গেলেন জ্যাকুলিন!
প্রসঙ্গত, বিদ্যা বালান বলিউড চলচ্চিত্রে কর্মজীবন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাংলা, তামিল, মালয়ালম এবং হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয় জীবনে তিনি এ যাবৎ বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন যার মধ্যে একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং পাঁচটি স্ক্রিন পুরস্কার অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। ২০১৪ সালে ভারত সরকার কর্তৃক তাকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করা হয়।
২০০৫ সালে প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র পরিণীতায় ললিতা চরিত্রে অভিনয় ছিল তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং পরবর্তী বছর ২০০৬ সালে রম্য-নাট্যধর্মী লাগে রাহো মুন্না ভাই চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন যা বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করে। এই সাফল্যের পর তিনি প্রণয়ধর্মী রম্য হেই বেবি (২০০৭) ও কিসমত কানেকশন (২০০৮) চলচ্চিত্রে কাজ করেন, যার ফলে তিনি নেতিবাচক সমালোচনা লাভ করেন।
সান নিউজ/এনকে