ছবি : সংগৃহিত
আন্তর্জাতিক

ভারতে মোদিবিরোধী জোটের সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের বেঙ্গালুরুতে তৃণমূলনেত্রী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এক পাশে, অপর পাশে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে বসিয়ে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি বিরোধী জোটের সভায় অংশগ্রহণ করেন সনিয়া গান্ধী।

আরও পড়ুন: চীনে শক্তিশালী টাইফুনের আঘাত

সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে বেঙ্গালুরুতে ভারতের সরকার তথা বিজেপিবিরোধী দলগুলোর ‘প্রারম্ভিক বৈঠকে’ দুই নেতা-নেত্রীকে সনিয়া গান্ধীর দু’পাশে দেখা গেল।

খড়্গের পাশে বসেছিলেন, গত ২৩ জুন পাটনায় বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠকের আয়োজক, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের আসন ছিল খড়্গের পাশে। তারও পরে ছিলেন রাহুল গান্ধী। মমতার অপর পাশে ছিল তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিনের আসন।

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনার জেরে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে ধারাবাহিকভাবে টার্গেট করে চলেছেন। এই আবহে সনিয়ার পাশের আসনে মমতার ‘অধিষ্ঠান’ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

আরও পড়ুন: পোল্যান্ডে বিমান বিধ্বস্ততে নিহত ৫

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, বেঙ্গালুরুর তাজ ওয়েস্ট এন্ড হোটেলে আয়োজিত ২৬টি বিরোধী দলের প্রাথমিক সৌজন্য বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী মমতার পায়ের চোট সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন। মমতাও সাবেক কংগ্রেস সভানেত্রীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিতে সোমবার বিকেলে বেঙ্গালুরু পৌঁছেন মমতার পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। বৈঠক শেষে মমতা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ভালো আলোচনা হয়েছে।’

পাটনায় বিরোধী শিবিরের শীর্ষ বৈঠকের পরে সোম ও মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধী শিবিরের দ্বিতীয় বৈঠক সোমবার শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সারা দিন মূল বৈঠক চলবে। তার আগে সোমবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুর ওই হোটেলে প্রারম্ভিক বৈঠকের পরে ছিল সোনিয়ার নৈশভোজ।

আরও পড়ুন: ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ, নিহত ২

সদ্য পায়ের অস্ত্রোপচারের কারণে খুব বেশি দৌড়ঝাঁপ করা বা পায়ে চাপ নেয়া যাবে না বলে মমতাকে তার চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন। তবুও কংগ্রেস নেত্রীর অনুরোধেই তিনি প্রারম্ভিক নৈশভোজ বৈঠকে যোগ দেন।

চলতি বছরের ২৩ জুন পাটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের ডাকা বৈঠকে ১৫টি দল অংশ নিয়েছিল। কংগ্রেসের তরফে হাজির ছিলেন রাহুল গান্ধী এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। ছিলেন মমতা এবং অভিষেক ব্যানার্জিও।

কেজরিওয়াল ছাড়াও আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ, তার ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, জেএমএম নেতা তথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, জম্মু ও কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লাহ এবং পিডিপির মেহবুবা বৈঠকে ছিলেন।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে ১২ প্রাণহানি

নীতীশের বৈঠকে তিন বাম দলের শীর্ষ নেতা- সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, সিপিআই এমএল-লিবারেশন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, শিবসেনা (বালাসাহেব) প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবও ছিলেন।

কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, পটনায় যে সব দল যোগ দিয়েছিল, তারা ছাড়াও এমডিএমকে, কেডিএমকে, ভিসিকে, আরএসপি, ফরোয়ার্ড ব্লক, কেরল কংগ্রেস(মণি), কেরল কংগ্রেস (জোসেফ) এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন অব মুসলিম লিগ, এমএমকে, আপনা দল (কে)-র মতো দলগুলি যোগ দিচ্ছে বেঙ্গালুরুর বৈঠকে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বিরোধী জোটের এই বৈঠকে সোনিয়ার উপস্থিতি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন। কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পর এই প্রথম সে রাজ্যে গেলেন সোনিয়া।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা, নিহত বেড়ে ৩৯

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিরোধী নেতাদের ওই বৈঠকে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের যৌথ রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। দেশ জুড়ে একসঙ্গে মোদী-সরকার বিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে। সে জন্য একটি কমিটিও তৈরি হবে। রাজ্য স্তরে আসন সমঝোতা নিয়েও আলোচনা করবেন বিরোধী নেতারা।

কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, বেঙ্গালুরুর বৈঠকে ২৬টি দল যোগ দিচ্ছে । তবে সোমবারের প্রারম্ভিক বৈঠকে যোগ দেননি এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং তার কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। মঙ্গলবার সকালে বেঙ্গালুরু পৌঁছবেন সকন্যা শরদ, এমনটি জানিয়েছে এনসিপি।

আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় আগুনে শত শত বাড়ি ধ্বংস

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা কটাক্ষ করে বলেছেন, বিরোধী জোটের এই বৈঠক দুর্নীতিগ্রস্ত দলের সমাবেশ।

এই বৈঠক শুধুমাত্র ফোটোসেশন ছাড়া কিছুই নয় জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো দলের মনোস্থিরতা নেই। কোনো নেতা নেই। কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই। যখন হবে তখন আমরা দেখব। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

সান নিউজ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, আমার বক্...

মোহিতলাল মজুমদার’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের...

বিটিভি ভবন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দ...

ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নিহত ৩০ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০...

পুলিশকে দুর্বল করতেই হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-...

হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে গাজাবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের সেনাদের টানা কয়েকদিনের বোমার হা...

চট্টগ্রামে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

জেলা প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম জেলার আ...

আজ ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকাসহ ৪ জেলায়...

ইসরাফিল আলম’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল...

পরিস্থিতি ভালো হলে কারফিউ তোলা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন,...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা