আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের গুজরাটের কুচ এবং সুরাট জেলা ও পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের উপকূলে আরব সাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে দুই দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন : তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডেড ইস্যু
ইতোমধ্যে আসন্ন এ দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান।
দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর এনডিএমএ সিন্ধ শাখা দপ্তরকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৩ জুন) সিন্ধের দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ‘বিপর্যয়’। সেক্ষেত্রে ঐ প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে প্রবল বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া ও বন্যা দেখা দেওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন : সংলাপ নিয়ে জাতিসংঘ প্রস্তাব দেয়নি
এনডিএমএ’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সিন্ধ শাখা কার্যালয়ে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, মৎসজীবীদেরকে যেন সাগরে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়। সেই সাথে উপকূল অঞ্চলের স্থানীয় লোকজনদের ঝড় আসার আগেই যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য প্রচার-প্রচারনার কাজ শুরু করা হয়।
সিন্ধের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে উর্দু ভাষার প্রচলন কম হওয়ায় স্থানীয় ভাষায় প্রচার-প্রচারনা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে এনডিএমএ।
আরও পড়ুন : এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিওটিভি জানিয়েছে, আরব সাগরের তীরবর্তী প্রদেশ বেলুচিস্তানের শাখা কার্যালয়েও এ ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে উচ্চ সতর্কতা জারিসহ যাবতীয় প্রুস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১১ জুন) পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর টুইটারে জানায়, ‘বিপর্যয়’-এর প্রভাবে আগামী ১৩-১৭ জুন পর্যন্ত সিন্ধের থাট্টা, সুজাওয়াল, বাদিন, থরপারকার এবং উমেরকোট জেলায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় এসব জেলায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠতে পারে ৮০-১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। সেই সাথে সিন্ধের প্রাদেশিক রাজধানী করাচি, হায়দারাবাদ, তান্দো মুহম্মদ খান, তান্দো আল্লায়ার ও মিরপুরখাস জেলায় ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন : পেরুতে ৩৪০৬ নারী নিখোঁজ!
একই দিনে পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সিএএ করাচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগামী সব ফ্লাইট রাজধানী ইসলামাবাদের আন্তর্জাতিক বিমাবনবন্দরে আবতরণের নির্দেশনা দিয়েছে।
সিএএ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত করাচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট যেন অবতরণ না করে।
রোববার পাকিস্তানের পরিবেশ মন্ত্রী শেরি রহমান টুইটারে সিন্ধ ও বেলুচিস্তানের লোকজনকে আতঙ্কগ্রস্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঘুর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ খুবই অপ্রাত্যাশিত একটি দুর্যোগ। তবে আমরা যদি আতঙ্কিত হই, তাহলে বিপদ আরও বাড়বে। সচেতনতা, সাবধানতা ও যথাযথ পরিকল্পনা দিয়ে এ দুর্যোগকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।
আরও পড়ুন : অস্ট্রেলিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১০
সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সোমবারের (১২ জুন) মধ্যে এ ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলার যাবতীয় পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের কাজ শেষ করবে তার নেতৃত্বাধীন সরকার।
সান নিউজ/এনজে
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            