ছবি-সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

মণিপুরে ‘দেখামাত্র গুলির’ নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের মণিপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আর এ উত্তেজনা নিরসনে এবার মণিপুরে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প

জানা যায়, দেশটির মণিপুর রাজ্যে মেতিস গোষ্ঠীর মানুষকে ‘স্কেজিউলড ট্রাইবে’ যুক্ত করা নিয়ে এ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না সেখানেই গুলি চালাতে হবে।

আরও পড়ুন: আমরা যুদ্ধ বন্ধে ব্যর্থ

নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ৫৫টি কলাম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে র‌্যাডিপ অ্যাকশন ফোর্সকে। পাশাপাশি আসাম রাইফেলস, স্থানীয় পুলিশ সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

মণিপুর রাজ্যে নাগাসম, জোমিস এবং কুর্কিসহ বেশ কয়েকটি উপজাতি সম্প্রদায় রয়েছে। তারা মেতিস গোষ্ঠীর মানুষকে স্কেজিউলড ট্রাইবে অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধীতা করেছে।

গত মাসে মণিপুর হাইকোর্ট মেতিস গোষ্ঠীকে স্কেডিউলড ট্রাইবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। মেতিস গোষ্ঠীর মানুষ উপজাতি সম্প্রদায়ের না হওয়ায় তারা পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে বসতি স্থাপন করতে পারে না। কিন্তু এখন আদালত তাদের স্কেজিউলড ট্রাইবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়ায় তারা যে কোনো স্থানে বসতি স্থাপন করতে পারবেন। আর এ বিষয়টিরই বিরোধীতা করেছে উপজাতিরা।

আরও পড়ুন: সার্বিয়ায় গোলাগুলিতে নিহত ৮

বুধবার অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর (এটিএসইউএম) ‘উপজাতি সংহতি’ মিছিল করার ঘোষণা দেয়। সেটিতে বাধা দেয় মেতিসরা। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেধে যায়। ওই দিনই রাজধানী ইম্ফালাসহ আটটি বিভাগে কারফিউ জারি করা হয়। এছাড়া মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সংঘর্ষে যেসব মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে তাদের উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত ৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সংঘর্ষে প্রাণহানী বা হতাহতের খবর এখনো জানা যায়নি।

সান নিউজ/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ১১০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন

মফস্বল ও প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা, হ...

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্রসহ চারজনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

মুন্সীগঞ্জে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীসহ চারজন প্রা...

বিপ্লবী হাদির জানাজা সম্পন্ন

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সম্...

কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে বিপ্লবী হাদির দাফন সম্পন্ন

ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণে।...

ঝালকাঠিতে শোকে স্তব্ধ ওসমান হাদির গ্রামের বাড়ি

দক্ষিনের জেলা ঝালকাঠিতে শোকে স্তব্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হ...

আলফাডাঙ্গা কলেজে পরীক্ষা চলাকালে অস্ত্র হাতে মহড়া, গ্রেপ্তার যুবক

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজে স্নাতক সম্মান (ডিগ্রি) পরীক্ষা চলাকালে দেশীয়...

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্রসহ চারজনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

মুন্সীগঞ্জে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীসহ চারজন প্রা...

চাকসুর উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক–চবি’র কর্পোরেট চুক্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি কর্পোরেট...

সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সন্তান সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগঠন ‘ইনকিলাব ম...

বাজারে কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টির অপরাধে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

বাজারে কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টির অপরাধে কুষ্টিয়ার মিরপুরে এক ব্যবসায়ীকে জরিমান...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা