আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে প্রায় সাড়ে আট হাজার বেসামরিক নাগরিকের নিশ্চিত মৃত্যুর পরিসংখ্যান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। বিবিসি, আলজাজিরা ও রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাক চাপায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু
তবে এই হিসাবের বাইরে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কমিশন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) বলেছে, গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর এ বছর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ হাজার ২৪৪ জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা যেসব এলাকা রুশ বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে, সেসব জায়গাতেই বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলের ৩ হাজার ৯২৭ জন। এই এলাকাগুলোতে তুমুল লড়াই হয়েছে। এদিকে ইউক্রেনের পাল্টা হামলা বিলম্বিত করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিতে পারেন বলে ধারণা করছে ওয়াশিংটনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ)। সংস্থাটির মতে, এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ছুটিকে বেছে নিতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলি, নিহত ৫
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় নথি ফাঁস নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলছে, এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চিন্তার। পাবলিক অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক প্রতিরক্ষা সচিবের সহকারী বলেছেন, নথি ফাঁসের এই ঘটনা দেশের নিরাপত্তার জন্য খুবই বিপজ্জনক। তাই বিষয়টি রীতিমতো চিন্তার।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি।
সান নিউজ/এনকে