আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১ জন। নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টিকিট কেটে বাসে উঠতে হবে
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
এসোসিয়েট প্রেসের খবরে বলা হয়, নিহতের মধ্যে তুরস্কের ৩ হাজার ৪১৯ জন ও সিরিয়ায় এক হাজার ৬০২ জন। আহত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। সিরিয়া ও তুরস্কের উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে হতাহতদের খুঁজে বের করতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সীমানার খসড়া আগামী সপ্তাহে
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, সোমবারের এই ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ৬০০০ বাড়িঘর ধসে পড়েছে। ২০০র মতো আফটার শক হয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তুপের ভেতরে আর্তকান্না শোনা যাচ্ছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা ওরহান তাতার মঙ্গলবার জানান, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে ২৩ হাজার ৪০০ কর্মী যোগ দিয়েছেন। ১০টি প্রদেশে ৭ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর ৫ হাজার ৭৭৫টি ভবন ধসে যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাপিড পাসে চড়া যাবে নগর পরিবহনে
শীতকালীন আবহাওয়া ও বিধ্বস্ত অঞ্চলে তুষারপাতের কারণে ভূমিকম্পে আহত ও গৃহহীন হয়ে পড়া হাজার হাজার মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে উদ্ধার কার্যক্রম।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান দেশটিতে ৭ দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। অপরদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া এবার জাতিসংঘের কাছে ভূমিকম্পের জন্য সহায়তা চাইছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে নিখোঁজ এক বাংলাদেশি উদ্ধার
প্রসঙ্গত, সোমবার স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে এ ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে, যখন দেশটির প্রায় সব মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, তুরস্ক, সিরিয়া, সাইপ্রাস, লেবানন, ইসরায়েল ও মিশরেও অনুভূত হয় ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৫ মাত্রার কম্পনসহ শতাধিক আফটারশক আঘাত হানে তুরস্কে। এসব আফটারশকের ধারাবাহিকতা ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল।
সান নিউজ/এমআর