সান নিউজ ডেস্ক: কিম জং উনের ক্ষমতাধর বোন কিম ইয়ো জং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সীমা অতিক্রম করছে।
আরও পড়ুন: আগুনে ২ চিকিৎসকসহ ৫ জনের মৃত্যু
জানা যায়, ইউক্রেনকে ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। রয়টার্স, এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) কেসিএনএকে দেওয়া বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং আরও বলেন, রাশিয়া যেমন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, উত্তর কোরিয়ারও একই অবস্থান থাকবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সপ্তাহে ঘোষণা দেয়, তারা ইউক্রেনকে সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধ ট্যাংকগুলোর ৩১টি সরবরাহ করবে। জার্মানির লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়ে দেয় এ তথ্য।
তিনি আরও বলেন, আমি ইউক্রেনকে সামরিক অস্ত্র সরবরাহ করে যুদ্ধের পরিস্থিতি বাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে আরও ৯৩৬ মৃত্যু
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর ‘সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আত্মরক্ষার নামে অপবাদ দেওয়ার অধিকার বা যৌক্তিকতা নেই।’
উত্তর কোরিয়া গতবছর বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এসবের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও (আইসিবিএমএস) রয়েছে। যদিও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার কারণে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র রপ্তানি, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসন সমর্থনে রাশিয়ার ‘ভাড়াটে বাহিনী’, ওয়াগনার গ্রুপ উত্তর কোরিয়ার রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের একটি চালান পেয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবি ‘অযৌক্তিক’ বলে নিন্দা জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া।
আরও পড়ুন: ভেঙে টুকরো টুকরো হবে পাকিস্তান!
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।
সান নিউজ/এনকে