আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে ভিভিআইপিদের যাতায়াতের সময় বন্ধ রাখা যাবে না সেই রাস্তার যান চলাচল। উল্টোদিকের লেনেও আগে থেকে আটকানো যাবে না কোনও গাড়ি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন : চীন-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের ‘স্বর্ণযুগ’ শেষ
কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতনদের ডেকে এই নির্দেশের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই সাফ জানিয়েছিলেন, তার গাড়ি যাবে বলে রাস্তায় অন্যান্য গাড়ি আটকে থাকবে, এটা তিনি কোনওভাবেই চান না। কারণ, তাতে সাধারণ মানুষের পথের ভোগান্তি আরও বাড়ে।
কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা মাথার রেখে তার যাতায়াতের সময় আগে থেকেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন : জিনপিংয়ের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল চীন
ফলে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি বিনা বাধায় যাতায়াত করলেও ব্যস্ত সময়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত সপ্তাহে বাড়ি থেকে বিধানসভায় যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী দেখেন, রাস্তা সম্পূর্ণ ফাঁকা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সেখানে আগে থেকেই গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।
বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দ না হওয়ায় তা পুলিশ কর্মকর্তাদের নজরে আনেন তিনি।
আরও পড়ুন : ইতালিতে জরুরি অবস্থা জারি
মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা এরপরই এ নিয়ে তৎপর হন। শহরের ট্রাফিক গার্ডকে জানানো হয়, রাস্তা দিয়ে কোনও ভিভিআইপি অথবা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যাতায়াত করলেও গাড়ি চলাচল আটকানো যাবে না।
সূত্র আরও জানিয়েছে, এর ভিত্তিতেই সোমবার (২৮ নভেম্বর) থেকে মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের পথে আগে থেকে গাড়ি আটকানো বন্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন : ক্যামেরুনে ভূমিধসে নিহত ১৪
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগে যেভাবে ভিভিআইপিদের যাতায়াতের সময়ে গাড়ি চলাচল না থামিয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হতো, এবার সেটাই করা হচ্ছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি আলাদা করে মাথায় রাখতে হচ্ছে তাদের। অন্য কোনও গাড়ি যাতে তার গাড়ির কাছাকাছি চলে না আসে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
সান নিউজ/এইচএন