আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মারা গেছেন ভারতের সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুলায়ম সিং যাদব। সোমবার (১০ অক্টোবর) মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। সকালে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
আরও পড়ুন: বিয়ের চার মাসেই যমজ ছেলের মা!
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের গুরুগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। তিনি দেশটির উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এছাড়া ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্বপালন করেছেন তিনি।
আরও বলা হয়, গত ২২ আগস্ট থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মুলায়ম সিং যাদব। সোমবার ভারতের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটার তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবি, নিহত ৭৬
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বিগত কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন মুলায়ম সিং যাদব। মূত্রনালিতে সংক্রমণসহ একাধিক শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। গত ২২ আগস্ট তাকে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১ অক্টোবর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
রোববার (৯ অক্টোবর) রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মুলায়ম সিং যাদবের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। এসময় তাকে আইসিইউতে রাখার পাশাপাশি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ দেওয়ার কথাও জানানো হয়। তবে সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
এদিকে প্রবীণ এই নেতার মৃত্যুর খবরে শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সাবেক মন্ত্রী প্রকাশ জাভারেকর, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
নরেন্দ্র মোদি তার টুইট বার্তায় লেখেন, ‘মুলায়ম সিং যাদবজী উত্তরপ্রদেশ তথা জাতীয় রাজনীতিতে নিজের আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন। জরুরি অবস্থায় তিনি গণতন্ত্রের লড়াইয়ে অন্যতম সৈনিক ছিলেন। শক্তিশালী ভারত গড়তে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবেও কাজ করেছেন।’
আরও পড়ুন: জুতার ভেতরে করে স্বর্ণ পাচার
প্রসঙ্গত, তিন দফায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুলায়ম সিং যাদব। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯১ সাল, ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল এবং ২০০৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল। এছাড়া ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় দেবগৌড়া সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে প্রথম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কারণে লোকসভা ভোটে দাঁড়াননি। ২০০৯ সাল থেকে আমৃত্যু সংসদের সদস্য ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে ‘নেতাজি’ বলে পরিচিত ছিলেন তিনি।
সান নিউজ/কেএমএল